বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস পার্ট-১ এর সেকশন-৩ এর বিধি ৩১ ও ৩২ এ পথভাড়া বা মাইলেজ প্রাপ্তির বিষয়ে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আজ আমরা জানবো পথভাড়া ভাতা কিভাবে নির্ণয় করিতে হয়। সাধারণ বিধি-৩১। পথভাড়া ভাতা বলিতে বুঝায় ভ্রমণকৃত দূরত্বের ভিত্তিতে নির্ণীত ভাতা, যাহা কোন একটি সুনির্দিষ্ট ভ্রমণের ব্যয় মিটানাের জন্য প্রদান করা হয়।
বিধি-৩২। পথভাড়া ভাতা নির্ধারণের উদ্দেশ্যে দুইটি স্থানের মধ্যে ভ্রমণের জন্য প্রচলিত দুই বা ততােধিক পথের মধ্যে যাহা দূরত্বের দিক হইতে স্বল্পতম অথবা ব্যয়ের দিক হইতে অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়বহুল এবং সেই সংগে স্বল্পতম, উক্ত পথটি ধরা হইবে।
তবে শর্ত থাকে যে, যেক্ষেত্রে বিকল্প রেলপথ রহিয়াছে এবং সময় ও ব্যয়ের দিক হইতেও উহাদের মধ্যে ব্যবধান বেশী নয়, সেই ক্ষেত্রে প্রকৃত পক্ষে যে পথে ভ্রমণ করিয়াছে, উক্ত পথের ভিত্তিতেই পথভাড়া ভাতা নির্ণয় করিতে হইবে। * আরাে শর্ত থাকে যে, জনস্বার্থজনিত বিশেষ কারণে স্বল্পতম দূরত্বের বা স্বল্পতম ব্যয়ের পথ ব্যতীত অন্য পথে প্রকৃত পক্ষে ভ্রমণ করিলে, বিভাগীয় প্রধান উক্ত কারণ লিপিবদ্ধ করত প্রকৃত পক্ষে ভ্রমণকৃত পথে পথভাড়া ভাতা নির্ধারণের অনুমতি প্রদান করিতে পারিবেন।
নােটঃ (১) ভ্রমণকারী সাধারণ যানবাহন ব্যবহার পূর্বক যে পথে দ্রুত গন্তব্যে পোঁছাইতে সক্ষম হন, উহাই স্বল্পতম দূরত্বের পথ বলিয়া গণ্য হইবে। দুই বা ততােধিক পথের মধ্যে কোন পথটি স্বল্পতম দূরত্নের, এই বিষয়ে সন্দেহ দেখা দিলে বিভাগীয় প্রধান কোন পথটি স্বল্পতম দূরত্বের সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত প্রদান করিবেন।
নােটঃ (২) স্বল্পতম দূরত্বের পথ নয়, কিন্তু ব্যয়ের দিক হইতে কম ব্যয়বহুল, এমন পথে ভ্রমণ করিলে প্রকৃত ভ্রমণকৃত পথের ভিত্তিতেই পথভাড়া ভাতা নির্ধারণ করিতে হইবে।
উদাহরণ: প্রশাসনিক ও জনস্বার্থে ভ্রমণের জন্য ভ্রমণকৃত দূরত্বের ভিত্তিতে প্রদানকৃত ভাতাই পথ ভাড়া ভাতা। ১। লাবণ্য হাঁসদা, অডিটর টাইমস্কেল/সিলেকশন গ্রেড স্কেল প্রাপ্তি জনিত কারনে তাহার বর্তমান গ্রেড ৮ এ মূলবেতন ৩৫,৭২০/- টাকা। জনস্বার্থে ও প্রশাসনিক কাজে তিনি সড়ক পথে ২৫ কিঃমিঃ পথ ভ্রমণ করেন।