ইত্যাদি । বিবিধ । ক্যাটাগরী বিহীন তথ্য

পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৫ । ইমার্জেন্সি পাসপোর্ট করতে কতদিন সময় লাগে?

আপনার ই-পাসপোর্টের স্ট্যাটাস চেক করার জন্য, আপনি অনলাইনে বাংলাদেশ সরকারের e-passport ওয়েবসাইটে যেতে পারেন। সেখানে, ‘চেক স্ট্যাটাস’ অপশনটিতে ক্লিক করে আপনার আবেদন আইডি এবং জন্ম তারিখ প্রবেশ করে স্ট্যাটাস জানতে পারবেন। এছাড়াও, একটি এসএমএস পাঠিয়েও আপনি স্ট্যাটাস জানতে পারেন– পাসপোর্ট চেক করার নিয়ম ২০২৫

অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম কি? www.epassport.gov.bd এই ওয়েবসাইটে যান। ওয়েবসাইটে “Check Status” বা “Application Status” নামে একটি অপশন বা মেনু আইটেম থাকবে, সেখানে ক্লিক করুন। আপনার অনলাইন আবেদনের সময় প্রাপ্ত অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং জন্ম তারিখ লিখুন। “Submit” বা “Check” বাটনে ক্লিক করে আপনার পাসপোর্টের স্ট্যাটাস দেখতে পারবেন।

মেসেজ দিয়ে কি চেক করা যায়? হ্যাঁ। এসএমএস এর মাধ্যমে স্ট্যাটাস চেক করার নিয়ম হচ্ছে আপনার ফোনের মেসেজ অপশনে যান।একটি নতুন মেসেজ তৈরি করুন। মেসেজের টেক্সট অপশনে লিখুন: e-passport <আপনার আবেদন আইডি> মেসেজটি পাঠান 1663 অথবা 51969 নম্বরে। এভাবে আপনি খুব সহজেই আপনার ই-পাসপোর্টের স্ট্যাটাস জানতে পারবেন।

পাসপোর্ট কয় দিনে পাওয়া যায়? সাধারণত, বাংলাদেশে ই-পাসপোর্ট পেতে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহ সময় লাগে। যদি জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রয়োজন হয়, তাহলে আবেদন করার সময় দ্রুত প্রক্রিয়াকরণের জন্য আবেদন করা যেতে পারে। ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার পর, অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন আইডি বা অ্যাপ্লিকেশন আইডি এবং জন্ম তারিখ দিয়ে স্ট্যাটাস চেক করা যায়। আবেদন জমা দেওয়ার পর, পাসপোর্ট ডাকযোগে পাঠানো হয়। আবেদনপত্রে উল্লেখিত ঠিকানায় পাসপোর্ট পাঠানো হয়। সাধারণ পাসপোর্টের জন্য আবেদন প্রক্রিয়াকরণে প্রায় ৩০ থেকে ৪৫ দিন সময় লাগতে পারে। তবে, জরুরি ভিত্তিতে পাসপোর্ট প্রয়োজন হলে, তৎকাল সেবার জন্য আবেদন করা যেতে পারে, যেখানে ৭ থেকে ১৪ দিনের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়া যেতে পারে। যদি পাসপোর্ট পেতে দেরি হয়, তাহলে অনলাইনে স্ট্যাটাস চেক করে দেখা যেতে পারে। এছাড়াও, পাসপোর্ট অফিস বা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে।

পাসপোর্ট কত দিনে পাওয়া যায় ২০২৫ । নতুন পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

ই-পাসপোর্ট সাধারণত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে প্রস্তুত হয়ে যায়, যদি আবেদনপত্রে কোন ভুল না থাকে এবং পুলিশ ভেরিফিকেশন সময়মতো সম্পন্ন হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে এই সময়সীমা কম বা বেশিও হতে পারে। আপনি যদি ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করে থাকেন, তাহলে পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইটে বা “পরিষেবা বিভাগ” এর ওয়েবসাইটে আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।

জরুরী (Urgent) ই-পাসপোর্ট সাধারণত ১০ কর্মদিবসের মধ্যে পাওয়া যায়, এবং অতি জরুরী (Very Urgent) পাসপোর্ট ২ কর্মদিবসের মধ্যে পাওয়া যেতে পারে। সাধারণ ই-পাসপোর্টের জন্য ২১ কর্মদিবস লাগতে পারে।

১০ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্ট করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও ফি’র প্রয়োজন হবে। নিচে তার তালিকা দেওয়া হলো:

  1. অনলাইন আবেদন ফরম: ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে এবং তার প্রিন্ট কপি সাথে রাখতে হবে।
  2. জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদ: আবেদনকারীর বয়স ১৮ বছরের বেশি হলে জাতীয় পরিচয়পত্র এবং ১৮ বছরের কম হলে জন্ম নিবন্ধন সনদের মূলকপি ও ফটোকপি সাথে রাখতে হবে।
  3. পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি: আবেদনকারীর পিতা ও মাতার জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্ম নিবন্ধন সনদের ফটোকপি সাথে রাখতে হবে।
  4. পাসপোর্ট সাইজের ছবি: ছবি ই-পাসপোর্টের জন্য নির্দিষ্ট সাইজ ও নিয়ম অনুযায়ী হতে হবে।
  5. পূ্র্বের পাসপোর্ট (যদি থাকে): যদি পূর্বে কোন পাসপোর্ট থেকে থাকে, তার মূল কপি এবং ফটোকপি সাথে রাখতে হবে।
  6. পাসপোর্ট ফি: নির্ধারিত ফি অনলাইনে অথবা ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে। ই-পাসপোর্টের ফি বিভিন্ন মেয়াদে এবং বিভিন্ন প্রকার সেবার জন্য ভিন্ন হয়ে থাকে।
  7. অন্যান্য কাগজপত্র: কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে যেমন, শিক্ষার্থীদের জন্য আইডি কার্ড বা এনরোলমেন্ট সার্টিফিকেটের কপি এবং যাদের ঠিকানা পরিবর্তন করতে হবে তাদের জন্য প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র সাথে রাখতে হবে। এই কাগজপত্র ও ফি জমা দেওয়ার পর পাসপোর্ট অফিস আপনার আবেদন গ্রহণ করবে এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে ই-পাসপোর্ট প্রদান করবে।

পাসপোর্ট করতে কত টাকা লাগে ২০২৫?

ই-পাসপোর্ট করার জন্য বিভিন্ন ফি প্রযোজ্য, যা পাসপোর্টের মেয়াদ এবং পাতার সংখ্যার উপর নির্ভর করে। সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী, ৪৮ পাতার ৫ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্টের জন্য ৪,০২৫ টাকা এবং ১০ বছর মেয়াদী ই-পাসপোর্টের জন্য ৫,৭৫০ টাকা ফি দিতে হয়। জরুরিভিত্তিতে পাসপোর্ট করতে চাইলে এই ফি আরও বেশি হয়ে থাকে। বিভিন্ন মেয়াদে এবং পাতার সংখ্যার উপর ই-পাসপোর্ট করার জন্য প্রয়োজনীয় ফি নিচে উল্লেখ করা হলো:

  • ৪৮ পাতার ই-পাসপোর্ট: ৫ বছর মেয়াদী (নিয়মিত): ৪,০২৫ টাকা
  • ৫ বছর মেয়াদী (জরুরি): ৬,৩২৫ টাকা
  • ৫ বছর মেয়াদী (অতীব জরুরি): ৮,৬২৫ টাকা
  • ১০ বছর মেয়াদী (নিয়মিত): ৫,৭৫০ টাকা
  • ১০ বছর মেয়াদী (জরুরি): ৮,০৫০ টাকা
  • ১০ বছর মেয়াদী (অতীব জরুরি): ১০,৩৫০ টাকা
  • ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্ট: ৫ বছর মেয়াদী (নিয়মিত): ৬,৩২৫ টাকা
  • ৫ বছর মেয়াদী (জরুরি): ৮,৬২৫ টাকা
  • ৫ বছর মেয়াদী (অতীব জরুরি): —
  • ১০ বছর মেয়াদী (নিয়মিত): —
  • ১০ বছর মেয়াদী (জরুরি): —
  • ১০ বছর মেয়াদী (অতীব জরুরি): —

এই ফি গুলো শুধুমাত্র ই-পাসপোর্টের জন্য প্রযোজ্য। আবেদন করার সময় প্রয়োজনীয় অন্যান্য কাগজপত্র ও ফি’র জন্য ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর এর ওয়েবসাইটে দেখুন।

ই পাসপোর্ট ফি কত ২০২৫ । ১০ বছর মেয়াদি ই পাসপোর্ট করতে ভেরিফিকেশন লাগবে না?

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *