নৈমিত্তিক । অর্জিত । মাতৃত্বকালীন

সরকারি কর্মচারীদের জন্য শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি ২০২৫ । রেস্ট এন্ড রিক্রেশন ছুটি বিস্তারিত পর্যালোচনা দেখুন

সরকারি ও বিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি, যা বাংলাদেশ চাকরি (বিনোদন ভাতা) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী প্রদান করা হয়। এই বিধিমালার মূল লক্ষ্য হলো কর্মচারীদের মানসিক ও শারীরিক ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করা। নিচে এই সুবিধাটির বিস্তারিত নিয়মাবলী তুলে ধরা হলো-সরকারি কর্মচারীদের জন্য শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি ২০২৫৮

কারা এই ছুটির জন্য যোগ্য? কার্যভিত্তিক, আনুষঙ্গিক, এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মচারী বাদে সকল সরকারি ও বিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারী এই ছুটি এবং ভাতা পাওয়ার যোগ্য। নন-গেজেটেড কর্মচারী যদি গেজেটেড পদের চলতি দায়িত্বে থাকেন, তাহলেও তিনি নন-গেজেটেড হিসেবেই গণ্য হবেন এবং সেই অনুযায়ী ভাতা পাবেন। অবসর-উত্তর ছুটিতে থাকা কর্মচারীরা এই ভাতা পাবেন না।

ছুটি ও ভাতা পাওয়ার নিয়ম কি? প্রতি তিন বছর পর পর একজন কর্মচারী ১৫ দিনের গড় বেতনে ছুটি নিতে পারবেন। এই ছুটির সাথে অতিরিক্ত হিসেবে এক মাসের মূল বেতনের সমান বিনোদন ভাতা দেওয়া হয়। ভাতা নির্ধারিত হয় যেই মাসে কর্মচারী ছুটিতে যান, সেই মাসের মূল বেতনের ওপর ভিত্তি করে। ছুটি অনুমোদন ছাড়া কোনো অবস্থাতেই ভাতা প্রদান করা হবে না।

যদি ছুটি মঞ্জুর না হয়? যদি কোনো কারণে জনস্বার্থে নির্ধারিত সময়ে ছুটি মঞ্জুর না হয়, তবে পরে যখনই ছুটি দেওয়া হবে, তখনই তিনি ভাতা পাবেন। এক্ষেত্রে মনে রাখতে হবে, পরবর্তী তিন বছরের মেয়াদ গণনা শুরু হবে প্রথম আবেদনের তারিখ থেকে, ছুটি মঞ্জুরের তারিখ থেকে নয়। ভাতা মঞ্জুরির গুরুত্বপূর্ণ শর্তসমূহ-কর্মচারীর চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে তার জ্যেষ্ঠতা গণনা করা হয় এবং সেই অনুযায়ী ভাতা মঞ্জুর করা হয়। যেসব কর্মচারী দ্রুত অবসরে যাবেন, তাদের ক্ষেত্রে এই ভাতা মঞ্জুরিতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। এই নিয়মাবলী সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীরা তাদের কর্মজীবনের চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করার সুযোগ পান।

সরকারি ও বিধিবদ্ধ সংস্থার কর্মচারীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুবিধা হলো শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি। নির্ধারিত ছুটি বিধিমালা, ১৯৫৯ এবং বাংলাদেশ চাকরি (বিনোদন ভাতা) বিধিমালা, ১৯৭৯ অনুযায়ী এই সুবিধা প্রদান করা হয়।

ছুটি ও ভাতা কোন কোড হতে পরিশোধ করা হয়? সরকারি কর্মচারীরা তাদের চাকরিতে যোগদানের তারিখ থেকে প্রতি তিন বছর পর পর ১৫ দিনের শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি পাবেন। এই ছুটির সাথে অতিরিক্ত হিসেবে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ বিনোদন ভাতা দেওয়া হয়। ভাতার জন্য একটি নির্দিষ্ট কোড (3111328) ব্যবহার করা হয়, যা দিয়ে এটি পরিশোধ করা হয়।

Caption: Source bd

শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি ও ভাতা প্রাপ্তির ভিত্তি ও শর্ত । শ্রান্তি ও বিনোদন ভাতা পাওয়ার জন্য চারটি বিষয়কে ভিত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়

  1. চাকরিতে যোগদানের তারিখ।
  2. গত শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি শুরুর তারিখ।
  3. ছুটি শেষ হওয়ার পরের দিনের তারিখ।
  4. বর্তমান আবেদনপত্রের তারিখ।

পূর্ববর্তী আবেদন হতে ৩ বছর হতে হবে?

হ্যাঁ। ছুটির প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, আবেদনকারীর আবেদনের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছর গণনা করা হয়। কোনো কর্মচারী যে মাসে ছুটিতে যাবেন, সেই মাসে তার যে মূল বেতন থাকবে, সেটিই তার বিনোদন ভাতার জন্য এক মাসের বেতন হিসেবে গণ্য হবে। এই নিয়মাবলী অনুসরণ করে সরকারি কর্মচারীরা তাদের কর্মজীবনের চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি পেয়ে নতুন উদ্যমে কাজ করার সুযোগ পান।

শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি কখন পাওয়া যায় না?

অবসর-উত্তর ছুটি (LPR/PRL): যখন কোনো কর্মচারী অবসর-উত্তর ছুটিতে থাকেন, তখন তিনি শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি বা ভাতা পাওয়ার যোগ্য হন না।অনুমোদন ছাড়া: ছুটি অনুমোদন ছাড়া শুধু ভাতা পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ভাতা পেতে হলে অবশ্যই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ছুটির অনুমোদন নিতে হবে।যথাযথ ছুটির অভাব: শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি মঞ্জুরের জন্য পর্যাপ্ত অর্জিত ছুটি জমা থাকা আবশ্যক। যদি কোনো কর্মচারীর প্রয়োজনীয় অর্জিত ছুটি জমা না থাকে, তাহলে তিনি এই ছুটি নিতে পারবেন না।
চাকরির ধরন: কার্যভিত্তিক, আনুষঙ্গিক বা চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীরা এই ছুটির আওতায় পড়েন না।জনস্বার্থ: অনেক সময় দাপ্তরিক কাজের প্রয়োজনে বা জনস্বার্থে কর্তৃপক্ষ কোনো কর্মচারীর আবেদনকৃত ছুটি মঞ্জুর নাও করতে পারে।সন্তোষজনক চাকরি না হলে: যদি কোনো কর্মচারীর চাকরি সন্তোষজনক না হয়, তিনি কোনো দণ্ডপ্রাপ্ত হন, বা তার বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (ACR) ভালো না হয়, তবে কর্তৃপক্ষ তার ছুটি ও ভাতা মঞ্জুর নাও করতে পারে।
ছুটির মেয়াদ: শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি ১৫ দিনের কম হলে বিনোদন ভাতা প্রাপ্য হবে না।

শ্রান্তি বিনোদন ছুটির প্রজ্ঞাপন [সর্বশেষ] ২০২৫ । শ্রান্তি ও বিনোদন ছুটি সম্পর্কিত কিছু প্রশ্নের উত্তর দেখুন

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *