বর্তমানে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি EFT টিতে পরিশোধের জন্য কাজ চলছে। এ বছরই ইএফটিতে বেতন প্রদানের কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা ২০১৯ অনুসারে ঋণ প্রাপ্তির যোগ্যতা হিসাবে বেতন ভাতাদি ইএফটি করণ থাকতে হবে। সে হিসাবে এ বছর ইএফটি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়ে গেলে সরকারি কর্মচারীদের অনেক দিনের প্রত্যাশা গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রাপ্তির দ্বার আরও একধাপ খুলে যাবে। বেতন ভাতাদি EFT করণ হয়ে গেলে সরকারি কর্মচারীগণ ব্যাংকিং ব্যবস্থা এ সরকারি ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা ২০১৯ এর ৭.১ অনুচ্ছেদের উপানুচ্ছেদ (গ) তে ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং নির্ধারণ করা হয়েছে।
(গ) ঋণের সর্বোচ্চ সিলিং নির্ধারণ:
(১) সরকারি কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ সিলিং (সংযোজনী-ক/সংযোজনী-খ) ও বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক Due Diligence-এর মাধ্যমে নিরূপিত পরিমাপ-এ দুয়ের মধ্যে যা কম সে পরিমাণ ঋণ মঞ্জুর ও বিতরণ করা যাবে। তবে সিলিং নির্ধারণের ক্ষেত্রে জমিসহ তৈরি বাড়ি ক্রয় এবং ফ্ল্যাটের ক্রয় মূল্যের সাথে রেজিস্ট্রেশন ফি অন্তর্ভূক্ত করতে হবে।
(২) ফ্ল্যাট ক্রয়ের ক্ষেত্রে ঋণ প্রদানের জন্য ডেট (Debt) ইক্যুইটি রেশিও হবে ৯০:১০।
সরকারি কর্তৃক নির্ধারিত সর্বোচ্চ সিলিং
১। ৫ম গ্রেড ও তদুর্ধ্ব (৪৩০০০/- ও তদুর্ধ্ব) ঢাকা মহানগরীর/সকল সিটি কর্পোরেশন/বিভাগীয় সদর ৭৫ লক্ষ, জেলা সদর ৬০ লক্ষ অন্যান্য এলাকা ৫০ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন।
২। ৫ম গ্রেড হতে ৬ষ্ঠ (২২০০০/- হতে ৩৫০০০) ঢাকা মহানগরীর/সকল সিটি কর্পোরেশন/বিভাগীয় সদর ৬৫ লক্ষ, জেলা সদর ৫৫ লক্ষ অন্যান্য এলাকা ৪৫লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন।
৩। ১৩তম গ্রেড হতে ১০ম (১১০০০/- হতে ১৬০০০) ঢাকা মহানগরীর/সকল সিটি কর্পোরেশন/বিভাগীয় সদর ৫৫ লক্ষ, জেলা সদর ৪০ লক্ষ অন্যান্য এলাকা ৩০লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন।
৪। ১৭ তম গ্রেড হতে ১৪তম (৯০০০/- হতে ১০২০০) ঢাকা মহানগরীর/সকল সিটি কর্পোরেশন/বিভাগীয় সদর ৪০ লক্ষ, জেলা সদর ৩০ লক্ষ অন্যান্য এলাকা ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন।
৫। ২০ তম গ্রেড হতে ১৮তম (৮২৫০/- হতে ৮৮০০) ঢাকা মহানগরীর/সকল সিটি কর্পোরেশন/বিভাগীয় সদর ৩৫ লক্ষ, জেলা সদর ২৫ লক্ষ অন্যান্য এলাকা ২০ লক্ষ টাকা ঋণ পাবেন।
সরকারি কর্মচারীদের গৃহ নির্মাণ ঋণের সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ সিলিং: ডাউনলোড