জাতীয় পরিচয় পত্র (NID) নিবন্ধন আইন- ২০২৩ আইনটি কার্যকর হবে- সরকার গেজেট নোটিফিকেশন এর মাধ্যমে যে তারিখ নির্ধারণ করবে সেই তারিখে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সুরক্ষা সেবা বিভাগ এখন থেকে জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন ও সংরক্ষণ এর সমুদয় দায়িত্ব পালন করবে – জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন আইন ২০২৩
কোন ঠিকানায় নতুন জাতীয় পরিচয়পত্র করবেন? – অন্যান্য বিধানে যাহা কিছুই থাকুক না কেন, সাধারণভাবে কোনো নাগরিককে জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের উদ্দেশ্যে তাহার স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে বসবাসরত ঠিকানায় নিবন্ধন করা হইবে এবং উক্ত ঠিকানা অনুযায়ী জাতীয় পরিচিতি নম্বর প্রদান করিতে হইবে। একজন নাগরিককে নিবন্ধক কর্তৃক কেবল একটি জাতীয় পরিচিতি নম্বর প্রদান করা যাইবে, যাহা উক্ত নাগরিকের একক পরিচিতি নম্বর (Unique Identification Number) হিসাবে সর্বত্র ব্যবহৃত হইবে। উপ-ধারা (১) এর অধীন প্রদত্ত জাতীয় পরিচিতি নম্বরের ভিত্তিতে একজন নাগরিককে একটি জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান করা হইবে।
নতুন আইন কি এনআইডি অপরাধ কমাবে? হ্যাঁ। Act No. V of 1898 এর প্রয়োগ। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898 ) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে। অপরাধের আমলযোগ্যতা, অ-আপোষযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা।(১) এই আইনের অধীন সংঘটিত সকল অপরাধ আমলযোগ্য (cognizable) ও অ-আপোষযোগ্য (non-compoundable) হইবে। এই আইনের ধারা ১৮, ১৯, ২০ এর উপ-ধারা (২) এবং ২৪ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ জামিনযোগ্য (bailable) হইবে এবং ধারা ২০ এর উপ-ধারা (১), ২১, ২২ এবং ২৩ এর অধীন সংঘটিত অপরাধসমূহ অ-জামিনযোগ্য (non-bailable) হইবে।
বায়োমেট্রিকস ফিচারে কি কি বিষয় অন্তর্ভূক্ত থাকে? Biometrics feature অর্থ কোনো নাগরিকের নিম্নবর্ণিত এক বা একাধিক বৈশিষ্ট্য, যথা:- আঙুলের ছাপ (Finger Print), হাতের ছাপ (Hand Geometry), তালুর ছাপ (Palm Print), চক্ষুর কনীনিকা (Iris), মুখাবয়ব (Facial Recognition ), ডিএনএ (Deoxyribonucleic acid), স্বাক্ষর (Signature), কণ্ঠস্বর (Voice) ইত্যাদি।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিধিমালা ২০২৩ । জাতীয় পরিচয় পত্র ২০০৮ । জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ কত বছর?
নতুন যারা জাতীয় পরিচয় পত্র নিবন্ধন করেছেন তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ হবে আজীবন। সরকারি পরিপত্র জারি করে মেয়াদহীন জাতীয় পরিচয়পত্রের মেয়াদ আনলিমিটেড করেছে।
জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন ২০২৩ গেজেট ডাউনলোড
জাতীয় পরিচয়পত্র অপরাধ ও দণ্ড । নতুন আইনে কারাদন্ড বা অর্থদন্ড রাখা হয়েছে
- মিথ্যা তথ্য প্রদানের জন্য দণ্ড। কোনো নাগরিক জাতীয় পরিচয়পত্র প্রাপ্তির লক্ষ্যে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো মিথ্যা বা বিবৃত তথ্য প্রদান বা তথ্য গোপন করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবে।
- একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করিবার দণ্ড।—কোনো নাগরিক জ্ঞাতসারে একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র গ্রহণ করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
- তথ্য-উপাত্ত বিকৃত বা বিনষ্ট করিবার দণ্ড । (১) নিবন্ধন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মচারী অথবা এই আইন দ্বারা বা ইহার অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে নিবন্ধকের নিকট সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত কোনো তথ্য-উপাত্ত বিকৃত বা বিনষ্ট করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাদের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ্য টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
- কোনো ব্যক্তি অসৎ উদ্দেশ্যে জাতীয় পরিচয়পত্রে উল্লিখিত কোনো তথ্য বিকৃত অথবা বিনষ্ট করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ২ (দুই) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৪০ (চল্লিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
- তথ্য-উপাত্তে অননুমোদিত প্রবেশ বা উহাদের বেআইনি ব্যবহারের দণ্ড। কোনো ব্যক্তি তথ্য উপাত্তে অননুমোদিতভাবে প্রবেশ করিলে বা বেআইনিভাবে তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন। ২২। তথ্য-উপাত্তের অননুমোদিত প্রকাশ। নিবন্ধন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মচারী বা উহার প্রতিনিধি অননুমোদিতভাবে তথ্য-উপাত্ত কোনো ব্যক্তির নিকট প্রকাশ করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৫ (পাঁচ) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ (পঞ্চাশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করিবার দণ্ড – (১) কোনো ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করিলে বা জ্ঞাতসারে উক্তরূপ পরিচয়পত্র বহন করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড বা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
- কোনো ব্যক্তি জাতীয় পরিচয়পত্র জাল করিবার কাজে সহায়তা বা উক্তরূপ পরিচয়পত্র বহনে প্ররোচনা প্রদান করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ৭ (সাত) বৎসর কারাদণ্ড অথবা অনধিক ১ (এক) লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
অন্য কোনো নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ধারণ কিংবা বহন করিবার দণ্ড কি?
কোনো ব্যক্তি কোনো যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত অন্য কোনো নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র ধারণ বা বহন করিলে তিনি এই আইনের অধীন অপরাধ করিয়াছেন বলিয়া গণ্য হইবে এবং উক্তরূপ অপরাধের জন্য তিনি অনূর্ধ্ব ১ (এক) বৎসর পর্যন্ত সশ্রম কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ (বিশ) হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।নিবন্ধন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মচারী অথবা এই আইন দ্বারা বা ইহার অধীন জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা, জাতীয় পরিচয়পত্র প্রস্তুতকরণ, বিতরণ ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত কোনো দায়িত্ব পালনরত কোনো ব্যক্তি, যুক্তিসংগত কারণ ব্যতিরেকে, দায়িত্বে অবহেলা করিলে উহা তাহার অদক্ষতা ও অসদাচরণ বলিয়া গণ্য হইবে।
উপ-ধারা (১) এর অধীন কোনো কর্মচারীর বিরুদ্ধে অদক্ষতা ও অসদাচরণ প্রমাণিত হইলে, তাহার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার জন্য প্রচলিত বিধি-বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাইবে । Act No. V of 1898 এর প্রয়োগ। এই আইনের অধীন সংঘটিত অপরাধের বিচারের ক্ষেত্রে Code of Criminal Procedure, 1898 (Act No. V of 1898 ) এর বিধানাবলি প্রযোজ্য হইবে।অপরাধের আমলযোগ্যতা, অ-আপোষযোগ্যতা ও জামিনযোগ্যতা।(১) এই আইনের অধীন সংঘটিত সকল অপরাধ আমলযোগ্য (cognizable) ও অ-আপোষযোগ্য (non-compoundable) হইবে।