নিয়োগ । বদলি । পদোন্নতি । জ্যেষ্ঠতা

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯ মোতাবেক  পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে, এতদুদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত সংশ্লিষ্ট বাছাই বা নির্বাচন কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে কোনাে পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগ করা যাইবে । তবে শর্ত থাকে যে, ১৫-১৪ গ্রেডের কোনাে পদ হইতে ১২-১১ গ্রেডের কোনাে পদে কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগ করা যাইবে।

(২) যদি কোনাে ব্যক্তির চাকুরী বৃত্তান্ত সন্তোষজনক না হয়, তাহা হইলে, তিনি কোনাে পদে পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়ােগের জন্য যােগ্য বলিয়া বিবেচিত হইবেন না।

শিক্ষানবিশি।—(১) কোনাে স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে কোনাে পদে নিয়ােগের জন্য বাছাইকৃত ব্যক্তিকে শিক্ষানবিশি স্তরে—

(ক) সরাসরি নিয়ােগের ক্ষেত্রে, স্থায়ী নিয়ােগের তারিখ হইতে ২ (দুই) বৎসরের জন্য; এবং (খ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে, এইরূপ নিয়ােগের তারিখ হইতে ১ (এক) বৎসরের জন্য নিয়ােগ করা হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া কোনাে শিক্ষানবিশির মেয়াদ এইরূপ বর্ধিত করিতে পারিবেন যাহাতে বর্ধিত মেয়াদ সর্বসাকুল্যে ২ (দুই) বৎসরের অধিক না হয়।

(২) যেই ক্ষেত্রে কোনাে শিক্ষানবিশের শিক্ষানবিশি মেয়াদকালে নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ মনে করেন যে, তাহার আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক নহে, কিংবা তাহার কর্মদক্ষ হইবার সম্ভাবনা নাই, সেই ক্ষেত্রে নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ

(ক) সরাসরি নিয়ােগের ক্ষেত্রে শিক্ষানবিশের চাকুরীর অবসান ঘটাইতে পারিবেন; এবং (খ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে, তাহাকে যে পদ হইতে পদোন্নতি প্রদান করা হইয়াছিল সেই
পদে প্রত্যাবর্তন করাইতে পারিবেন।

(৩) শিক্ষানবিশির মেয়াদ, বর্ধিত মেয়াদ থাকিলে তাহাসহ, সম্পূর্ণ হইবার পর নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ যদি (ক) এই মর্মে সন্তুষ্ট হন যে, শিক্ষানবিশি মেয়াদ চলাকালে কোনাে শিক্ষানবিশের আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক, তাহা হইলে উপ-বিধি (৪) এর বিধান সাপেক্ষে, তাহাকে চাকুরীতে স্থায়ী করিবেন এবং স্থায়ী শূন্য পদের বিপরীতে নিয়ােগপ্রাপ্ত ব্যক্তি চাকুরীতে যােগদানের তারিখ হইতে চাকুরীতে স্থায়ী হইবেন; এবং

(খ) মনে করেন যে, উক্ত মেয়াদকালে শিক্ষানবিশের আচরণ ও কর্ম সন্তোষজনক ছিল না, তাহা হইলে উক্ত কর্তৃপক্ষ (অ) সরাসরি নিয়ােগের ক্ষেত্রে, তাহার চাকুরীর অবসান ঘটাইতে পারিবেন; এবং

(আ) পদোন্নতির ক্ষেত্রে, তাহাকে যে পদ হইতে পদোন্নতি প্রদান করা হইয়াছিল সেই পদে প্রত্যাবর্তন করাইতে পারিবেন।

(৪) কোনাে শিক্ষানবিশকে কোনাে নির্দিষ্ট পদে স্থায়ী করা হইবে না যতক্ষণ না, সরকারি আদেশবলে, সময় সময়, যে পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়, সেই পরীক্ষায় তিনি উত্তীর্ণ হন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন:
তবে শর্ত থাকে যে, যিনি উল্লিখিত প্রশিক্ষণ চাকুরীতে যােগদানের পূর্বে গ্রহণ করিয়াছেন, তাহার চাকুরী স্থায়ীকরণের ক্ষেত্রে এই উপ-বিধিতে উল্লিখিত প্রশিক্ষণ গ্রহণের বিষয়টি প্রযােজ্য হইবে না।

(৫) কোনাে পদে সরাসরি নিয়ােগের ক্ষেত্রে চাকুরীতে যােগদানের পর অন্যূন ০৪ (চার) বৎসরের মধ্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করিতে হইবে।

(৬) উপ-বিধি (৪) ও (৫) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, কোনাে ব্যক্তি ৫০ (পঞ্চাশ) বৎসর বয়সে পদার্পণ করিলে এবং তাহার চাকুরী সন্তোষজনক বিবেচিত হইলে, নিয়ােগকারী কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা ও প্রশিক্ষণ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা শিথিলপূর্বক তাহার চাকুরী স্থায়ী করিতে পারিবে।

উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তি—এই বিধিমালার অধীন নিয়ােগপ্রাপ্ত কোনাে সহকারী শিক্ষক বা প্রধান শিক্ষক বিধি ৬ এর উপ-বিধি (৪) এ বর্ণিত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হইলে তিনি উক্ত পদের জন্য নির্ধারিত উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্য হইবেন।

বিশেষ বিধান।—(১) তপশিলে উল্লিখিত কোনাে পদ পূরণের ক্ষেত্রে সরাসরি ও পদোন্নতির কোটা বিভাজনে কোনাে ভগ্নাংশ আসিলে উভয় কোটার ভগ্নাংশ পূর্ণ সংখ্যা হিসাবে পদোন্নতির কোটার সহিত যুক্ত হইবে।

(২) অন্য কোনাে বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে যাহা কিছুই উল্লেখ থাকুক না কেন (ক) শিক্ষক নিয়ােগ উপজেলা ও, ক্ষেত্রমত, থানাভিত্তিক কোটা হইবে; উপজেলা বা থানাভিত্তিক শূন্যপদ অনুযায়ী কোনাে কোটায় উপযুক্ত প্রার্থী পাওয়া গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী একই উপজেলা বা থানার উত্তীর্ণ সাধারণ প্রার্থীদের দ্বারা তাহা পূরণ করা হইবে;

(গ) এই বিধিমালার অধীন সরাসরি নিয়ােগযােগ্য পদের ৬০% মহিলা প্রার্থীগণের দ্বারা, ২০% পােষ্য প্রার্থীগণের দ্বারা এবং অবশিষ্ট ২০% পুরুষ প্রার্থীগণের দ্বারা। পূরণ করা হইবে; এবং উপ-বিধি (২) (গ) এ নির্ধারিত কোটার শিক্ষকগণের মধ্যে প্রত্যেক ক্যাটাগরিতে (মহিলা ৬০%, পােষ্য ২০% ও অবশিষ্ট পুরুষ ২০%) অবশ্যই ২০% বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক বা সমমানের ডিগ্রীধারী প্রার্থীগণের নিয়ােগ নিশ্চিত করিতে হইবে : তবে শর্ত থাকে যে, উক্তরূপে ২০% কোটা পূরণ না হইলে মেধার ভিত্তিতে নিয়ােগ প্রদান করা যাইবে।

(৩) উপ-বিধি (২) এর দফা (গ) তে উল্লিখিত মহিলা, পােষ্য ও পুরুষ কোটা পূরণের ক্ষেত্রে, আপাতত বলবৎ অন্য কোনাে বিধি বা সরকারি সিদ্ধান্তে কোনাে বিশেষ শ্রেণির কোটা নির্ধারিত থাকিলে উক্ত কোটা সংক্রান্ত বিধান অনুযায়ী নিয়ােগ করিতে হইবে।

ব্যাখ্যা—এই বিধিতে “পােষ্য” অর্থ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ােজিত আছেন বা ছিলেন এমন শিক্ষকের অবিবাহিত সন্তান, যিনি উক্ত শিক্ষকের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল আছেন বা তিনি জীবিত থাকিলে বা চাকুরীতে থাকিলে সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল। থাকিতেন এবং উক্ত শিক্ষকের বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা যিনি উক্ত শিক্ষকের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল ছিলেন বা, ক্ষেত্রমত, তিনি জীবিত থাকিলে অনুরূপভাবে নির্ভরশীল থাকিতেন।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০১৯_Page_7

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা ২০১৯: ডাউনলোড

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *