ঈদে মিলাদুন্নবী দিবসে পতাকা উত্তোলিত থাকবে– ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস দিবসে পতাকা উত্তোলন – পতাকা বিধিমালা ১৯৭২ এর সংশোধন
এস, আর, ও নং ৩৮-আইন/২০২১Bangladesh National Anthem, Flag and Emblem Order, 1972 (P.O. No. 130 of 1972) এর Article 5 এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার People’s Republic of Bangladesh Flag Rules, 1972 এর নিম্নরূপ অধিকতর সংশােধন করিল।
যথাযথ সম্মান প্রর্দশন বা জাতীয় পতাকা উত্তোলন না করিলে ২ বছর কারাদন্ড সহ ১০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানার বিধান রয়েছে। ১৯৭২ সালে প্রণীত ৩ ধারায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের পতাকা বিধিমালা অনুযায়ী জাতীয় পতাকার মাপ কেমন? রং কেমন হবে? সে সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অনুপাত- ১০:৬ বা ৫:৩। দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝে লাল বৃত্ত থাকবে।
পতাকার দৈর্ঘ্য ১০ ফুট। তাহলে প্রস্থ হবে ৬ ফুট। লাল বৃত্তের ব্যাসার্ধ হবে ২ ফুট। পতাকার দৈর্ঘ্যর বিশ ভাগের বাম দিকের নয় ভাগের শেষ বিন্দুর ওপর অঙ্কিত লম্ব এবং প্রস্থের দিকে মাঝখান বরাবর অঙ্কিত সরল রেখার ছেদ বিন্দু হলো লাল বৃত্তের কেন্দ্র। পতাকার লাল বৃত্তের মাপ- পতাকার ৫ ভাগের ১ অংশ বা বৃত্তটি দৈর্ঘ্যর এক-পঞ্চমাংশ ব্যসার্ধ বিশিষ্ট হবে।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা মাপ ও উত্তোলন পদ্ধতি এবং পাতার খুঁটির দৈর্ঘ্য।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা শুধুমাত্র একটুকরো কাপড় নয়। এটি খুবই শ্রদ্ধার বিষয় তাই এ পতাকা উত্তোলনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা অত্যাবশ্যক।
পতাকা অবমাননার শাস্তি কি?
২০১০ সালের ২০ জুলাই প্রণীত আইন অনুযায়ী ৫ হাজার টাকা জরিমানা বা এক বছরের কারাদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে। ২০১০ সালের জুলাই মাসে এই আইন সংশোধিত হয়। এই সংশোধনীতে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের শাস্তি এবং ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ডে বিধান রাখা হয়।
বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা মাপ ও উত্তোলন পদ্ধতি এবং পাতার খুঁটির দৈর্ঘ্য।