অর্থ বছরের শেষদিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/ বিভাগ/ অধিদপ্তর/ দপ্তর/ সংস্থা কর্তৃক দাখিলকৃত নিয়মিত বিল ও ফেরত বিলসমূহের উপর নিরীক্ষা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পূর্ব নিরীক্ষার কাজ সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অর্থ বছরের শেষে ব্যয় বিল দাখি, চেক ইস্যু ও চেক নগদায়নের ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রয়োজন। সে উদ্দেশ্যে ব্যয় বিল দাখিল, চেক ইস্যু ও চেক নগদায়নের ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাজেট বরাদ্দ কি? বাজেট বরাদ্দ হলো একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য (সাধারণত এক বছর) একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যের জন্য অর্থ বরাদ্দের পরিকল্পনা। এটি ব্যক্তিগত, পারিবারিক, ব্যবসায়িক, সরকারি, অথবা অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের হতে পারে। বাজেট বরাদ্দের উদ্দেশ্য আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করা। আর্থিক লক্ষ্য অর্জন করা এবং সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং ভবিষ্যতের জন্য পরিকল্পনা করা হয়।
বাজেট বরাদ্দের ধাপ কি? প্রথমে, আপনাকে আপনার মোট আয়ের পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে বেতন, বিনিয়োগের আয়, ব্যবসার আয়, ইত্যাদি। এরপর, আপনাকে আপনার মোট প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণ করতে হবে। এর মধ্যে রয়েছে খাদ্য, বাসস্থান, পরিবহন, পোশাক, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, ইত্যাদি। আপনার আয় এবং প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে, আপনাকে বিভিন্ন খরচের ধরণের জন্য অর্থ বরাদ্দ করতে হবে। নিয়মিতভাবে আপনার বাজেট ট্র্যাক করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনাকে আপনার বাজেট মেনে চলছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।
বাজেট ফেরত গেলে কি মেমো খাইতে হয়? হ্যাঁ। আপনি আপনার দপ্তরের জন্য চাহিদা দিয়ে বাজেট বরাদ্দ পেয়েছেন। চাহিদা অনুসারে বরাদ্দ প্রাপ্তির পর সে অনুসারে লক্ষ্য অর্জনে কাজ করতে হবে। কোন ভাবেই উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের ব্যর্থ হওয়া যাবে না। বাজেট ফেরত আসা মানে আপনি কোন একটি কাজ বাদ রেখেছেন। তাই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বাজেট বরাদ্দ ব্যয় করে লক্ষ্য অর্জন করতে হবে।
বেতন ভাতা কি এ সার্কুলারের আওতাভূক্ত? না। সকল প্রকার বেতন-ভাতা সংক্রান্ত বিল এ সময়সীমার আওতামুক্ত থাকবে। পরিচালন ও উন্নয়ন খাতের অর্থ অবমুক্তি, ব্যয় বিল দাখিল ও চেক ইস্যুর উপরিল্লিখিত সময়সীমা কোনক্রমেই আর বৃদ্ধি করা হবে না।
দপ্তরের অধীনে বরাদ্দকৃত বাজেট নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যয় করতে হবে । বরাদ্দ কোন ভাবেই ফেরত প্রদান করা যাবে না
বাংলাদেশ সরকার প্রতি বছর একটি বাজেট তৈরি করে যাতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। বাজেট তৈরির সময়, সরকার রাজস্ব আয়, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, এবং জনগণের চাহিদা বিবেচনা করে।
বিস্তারিত জানতে সম্পূর্ণ পরিপত্রটি দেখে নিতে পারেন: ডাউনলোড
বাজেট বরাদ্দ ব্যয় সময়সীমা ২০২৪ । নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে নতুন বিল প্রেরণ শেষ করতে হবে
- পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় অর্থ অবমুক্তির (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) সময়সীমা ১৩ জুন ২০২৪
- পরিচালন ও উন্নয়ন উভয় খাতে নতুন ব্যয় বিল দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ২০ জুন ২০২৪
- পরিচালন ও উন্নয়ন উভয় খাতে ফেরত বিল দাখিলের সর্বশেষ তারিখ ২৫ জুন ২০২৪
- পরিচালন ও উন্নয়ন উভয় বাজেটের আওতায় বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর সর্বশেষ তারিখ ২৭ জুন ২০২৪
- বাজেট বরাদ্দের আওতায় বিদেশ হতে পণ্য ইত্যাদি আমদানির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আমদানি ও মূল্য পরিশোধের সর্বশেষ তারিখ ২৭ জুন ২০২৪
- যেসব ক্ষেত্রে ৩০ জুন ২০২৪ তারিখের মধ্যে আমদানি ও মূল্য পরিশোধের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যাবে না সেক্ষেত্রে অসুবিধার কারণ, চলতি অর্থবছরে স্থাপিত এলসি’র বিপরীতে আগামী অর্থবছরে পরিশোধযোগ্য অর্থের পরিমাণ প্রভৃতি বিস্তারিতভাবে উল্লেখপূর্বক স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রতিবেদন অর্থ বিভাগে প্রেরণের সর্বশেষ তারিখ ২০ জুন ২০২৪
- বাজেট বরাদ্দের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক কোন আমদানি এলসি স্থাপন কিংবা নিষ্পত্তির সর্বশেষ তারিখ ২৫ জুন ২০২৪
সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটি মাথায় রেখেই বাজেট শেষ করতে হবে?
হ্যাঁ। বন্ধ অর্থবছরের শেষদিকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদপ্তর/দপ্তর/সংস্থা কর্তৃক দাখিলকৃত নিয়মিত বিল ও ফেরত বিলসমূহের উপর সংশ্লিষ্ট হিসাবরক্ষণ অফিস কর্তৃক পূর্ব-নিরীক্ষার কাজ সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে অর্থবছরের শেষে ব্যয় বিল দাখিল, বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা বজায় রাখা প্রয়োজন। উপরন্তু, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুন/২৪ মাসের ১৬-১৮ তারিখ পবিত্র ঈদ- উল-আযহা উপলক্ষে সরকারি অফিসসমূহ বন্ধ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, ২৮-২৯ জুন/২৪ তারিখ শুক্রবার ও শনিবার, সাপ্তাহিক ছুটি। সার্বিক প্রেক্ষাপটে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ব্যয় বিল দাখিল, বিল নিষ্পত্তি ও চেক ইস্যুর ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছৈ।