বাংলাদেশ সরকার ইতোপূর্বেও ৬টি সংস্কার কমিশন গঠন করার ঘোষণা দেয় এবং বর্তমানে সংস্কার কমিটি সদস্যদের তালিকাসহ কার্যাদি ঘোষণা করিল –সরকারি সংস্কার কমিশন ২০২৪
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় কি? জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় হল বাংলাদেশ সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। এই মন্ত্রণালয়টি দেশের জনপ্রশাসন ব্যবস্থার সার্বিক দায়িত্ব পালন করে। সহজ কথায়, দেশের সরকারি কর্মচারীদের নিয়োগ, বদলি, প্রশিক্ষণ, পদোন্নতি, বেতন-ভাতা, পেনশন ইত্যাদি সব ধরনের বিষয় এই মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন। বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া এবং নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করে থাকে। সরকারি কর্মচারীদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। কর্মচারীদের যোগ্যতার ভিত্তিতে পদোন্নতি দেওয়া এবং তাদের বেতন-ভাতার বিষয়টি নিশ্চিত করে থাকে। সরকারি কর্মচারীদের কাজের পরিবেশ ও অধিকার নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে। কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সহায়তা করা এবং তাদের কল্যাণে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করে থাকে। এটি সংস্কার করবে কমিশন।
দুর্নীতি দমন কমিশন কি? দুর্নীতি দমন কমিশন (আমাদের দেশে সাধারণত দুদক নামে পরিচিত) হলো একটি সরকারি সংস্থা যার প্রধান কাজ হলো দেশ থেকে দুর্নীতি দূর করা। এটি একটি স্বাধীন সংস্থা যার কাজ হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করা, দুর্নীতির ঘটনা তদন্ত করা এবং দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা। সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্ত করে। দুর্নীতির ঘটনা প্রমাণিত হলে আদালতে মামলা দায়ের করে। দুর্নীতি প্রতিরোধে বিভিন্ন সুপারিশ প্রদান করে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করে। অন্যান্য দেশের দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার সাথে সহযোগিতা করে।
বিচার বিভাগ কি? বিচার বিভাগ হলো একটি রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যা আইন ও ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দায়িত্ব পালন করে। এটি একটি স্বাধীন শাখা যা নির্বাহী ও আইনসভা শাখার থেকে স্বতন্ত্র। আইন সম্পর্কিত বিরোধের ক্ষেত্রে আইন ব্যাখ্যা করে এবং সঠিক সিদ্ধান্ত দেয়। অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া এবং সিভিল মামলার নিষ্পত্তি করে। সংবিধানের রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করে এবং অন্য শাখাগুলো যদি সংবিধান লঙ্ঘন করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়। নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করে।
সরকার ৫টি নতুন কমিশন গঠন করেছে / কমিশনগুলো স্বাধীনভাবে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করবেন
কমিশন ৩ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ হইতে কার্যক্রম শুরু করিবে এবং সংশ্লিষ্ট সকল মতামত বিবেচনা করিয়া পরবর্তী ৯০ (নব্বই) দিনের মধ্যে প্রস্তুতকৃত প্রতিবেদন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার নিকট হস্তান্তর করিবে। কমিশনের কার্যালয় সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হইবে। কমিশনের প্রধান ও সদস্যগণ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত সরকারি পদমর্যাদা, বেতন/সম্মানি ও সুযোগ-সুবিধা পাইবেন; তবে শর্ত থাকে যে, কমিশন প্রধান বা কোন সদস্য অবৈতনিক হিসাবে দায়িত্ব পালন করিতে চাহিলে বা সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করিতে না চাহিলে তাহা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা অনুমোদন করিতে পারিবেন; প্রজাতন্ত্রের সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ/দপ্তর/সংস্থা কমিশনের চাহিদানুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত সরবরাহসহ সকল ধরনের সহযোগিতা প্রদান করিবে। কমিশন প্রয়োজনে উপযুক্ত ব্যক্তিকে কমিশনের সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করিতে পারিবে; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ কমিশনকে সাচিবিক সহায়তা প্রদান করিবে।
Caption: download full gezzette
সংস্কার কমিটি গঠন ২০২৪ । ৫টি পূর্নাঙ্গ কমিটির তালিকা দেখুন
- “জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন” নামে কমিশন গঠন করা প্রসঙ্গে।
- “দুর্নীতি দমন কমিশন সংস্কার কমিশন” নামে কমিশন গঠন করা প্রসঙ্গে।
- “বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন” নামে কমিশন গঠন করা প্রসঙ্গে।
- “পুলিশ সংস্কার কমিশন” নামে কমিশন গঠন করা প্রসঙ্গে।
- “নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন” নামে কমিশন গঠন করা প্রসঙ্গে।
বাংলাদেশ পুলিশের কাজ কি?
বাংলাদেশ পুলিশ হলো বাংলাদেশের একমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা। এই বাহিনী দেশের নাগরিকদের জীবন ও সম্পত্তির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অপরাধ দমন করা এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার দায়িত্ব পালন করে। দেশের সব প্রান্তে আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখে। চুরি, ডাকাতি, হত্যা, মাদকসেবন ইত্যাদি সকল ধরনের অপরাধ দমন করে। দুর্ঘটনা, বিপর্যয় ইত্যাদি পরিস্থিতিতে জনসাধারণকে সহায়তা করে। আদালতকে সহযোগিতা করে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে।
সমস্যা চিহ্নিতকরণ: কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যবস্থায় বিদ্যমান সমস্যাগুলোকে বিশদভাবে পর্যালোচনা করা এবং তাদের কারণগুলো খুঁজে বের করা। | সমাধানের প্রস্তাব: সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রস্তাব দেওয়া। | নতুন নীতিমালা প্রণয়ন: প্রতিষ্ঠান বা ব্যবস্থায় নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করা। |
সুপারিশ করা: প্রশাসনকে সংস্কারের জন্য বিভিন্ন সুপারিশ করা। | জনমত গ্রহণ: প্রয়োজনে জনসাধারণের মতামত গ্রহণ করা। | |
সংস্কার কমিশন কি? সংস্কার কমিশন হলো সাধারণত কোনো প্রতিষ্ঠান, সংস্থা বা ব্যবস্থার মধ্যে বিদ্যমান সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে এবং সেগুলোর সমাধানের জন্য নতুন পদ্ধতি বা নিয়মকানুন প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে গঠিত একটি কমিটি বা দল। এই কমিশনের সদস্যরা সাধারণত বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞ ব্যক্তি দিয়ে গঠিত হয়।