বাংলাদেশ সরকার জরুরী মুহুর্তে যেমন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ, জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ, ভোগ্যপন্য দর নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি বিভিন্ন কারণে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্টের প্যানালগুলো সঠিক ভাবে জানা থাকলে ভুল সাজা বা সাজা প্রাপ্তি থেকে মুক্তি যাওয়া যায়। আসুন জেনে নিই আইনটি সম্পর্কে।

 

আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে কার্যকর ও অধিকতর দক্ষতার সহিত সম্পাদন করিবার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালনার উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় বিধান করিবার লক্ষ্যে প্রণীত আইন

যেহেতু জনস্বার্থে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে কার্যকর ও অধিকতর দক্ষতার সহিত সম্পাদন করিবার জন্য এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে কতিপয় অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আমলে গ্রহণ করিয়া দণ্ড আরোপের সীমিত ক্ষমতা অর্পণ করিয়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনার লক্ষ্যে বিধান করা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়; সেহেতু এতদ্বারা নিম্নরূপ আইন করা হইল :- সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, প্রবর্তন ও প্রয়োগ

১। (১) এই আইন মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ নামে অভিহিত হইবে।

(২) ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে।

(৩) সমগ্র বাংলাদেশে ইহার প্রয়োগ হইবে।

সংজ্ঞা ২। বিষয় বা প্রসঙ্গের পরিপন্থী কোন কিছু না থাকিলে, এই আইনে-

(১) “অতিরিক্ত দায়রা জজ” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লিখিত অতিরিক্ত দায়রা জজ; এবং মেট্রোপলিটন এলাকার অতিরিক্ত দায়রা জজও উহার অন্তর্ভূক্ত হইবে;

(২) “এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লিখিত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট;

(৩) “জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লিখিত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট;

(৪) “ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লিখিত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট; এবং অতিরিক্ত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটও উহার অন্তর্ভূক্ত হইবেন;

(৫) “তফসিল” অর্থ এই আইনের তফসিল;

(৬) “দায়রা জজ” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লিখিত দায়রা জজ; এবং মেট্রোপলিটন এলাকার দায়রা জজও উহার অন্তর্ভুক্ত হইবে;

(৭) “ফৌজদারী কার্যবিধি” অর্থ Code of Criminal Procedure, 1898 (Act V of 1898);

(৮) “মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট” অর্থ ফৌজদারী কার্যবিধিতে উল্লিখিত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট;

(৯) “মেট্রোপলিটন এলাকা” অর্থ কোন আইনের অধীন ঘোষিত মেট্রোপলিটন এলাকা;

(১০) “মোবাইল কোর্ট” অর্থ ধারা ৪ এ উল্লিখিত মোবাইল কোর্ট।

মোবাইল কোর্ট
৪। আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রমকে দক্ষতার সহিত সম্পাদন করিবার স্বার্থে আবশ্যক ক্ষেত্রে কতিপয় অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে আমলে গ্রহণ করিয়া দণ্ড আরোপের সীমিত ক্ষমতা প্রয়োগের উদ্দেশ্যে সমগ্র দেশে কিংবা যে কোন জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় ভ্রাম্যমান কার্যক্রম পরিচালিত হইবে যাহা “মোবাইল কোর্ট” নামে অভিহিত হইবে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা অর্পণ
৫। সরকার সমগ্র দেশে কিংবা যে কোন জেলা বা মেট্রোপলিটন এলাকায় যে কোন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে, এবং ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তাহার আঞ্চলিক অধিক্ষেত্রে যে কোন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটকে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম সম্পাদনের উদ্দেশ্যে লিখিত আদেশ দ্বারা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিবার ক্ষমতা অর্পণ করিতে পারিবে।
মোবাইল কোর্টের ক্ষমতা

৬। (১) ধারা ৫ এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ধারা ১১ এর অধীন ক্ষমতাপ্রাপ্ত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট আইন শৃংখলা রক্ষা ও অপরাধ প্রতিরোধ কার্যক্রম পরিচালনা করিবার সময় তফসিলে বর্ণিত আইনের অধীন কোন অপরাধ, যাহা কেবল জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক বিচার্য, তাহার সম্মুখে সংঘটিত বা উদ্ঘাটিত হইয়া থাকিলে তিনি উক্ত অপরাধ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলেই আমলে গ্রহণ করিয়া অভিযুক্ত ব্যক্তিকে, স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে, দোষী সাব্যস্ত করিয়া, এই আইনের নির্ধারিত দণ্ড আরোপ করিতে পারিবেন।

(২) তফসিলে বর্ণিত কোন আইনের অধীন প্রণীত বিধি, প্রবিধি বা আদেশের অধীন কোন অপরাধ উক্ত আইনের অধীন অপরাধ বলিয়া গণ্য হইবে।

(৩) তফসিলে বর্ণিত কোন আইনের অধীন কোন অপরাধ কোন্ আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্য হইবে তাহা উক্ত আইনে নির্ধারণ করা না থাকিলে, ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ২৯ এর সংশ্লিষ্ট দ্বিতীয় তফসিলের অষ্টম কলাম অনুযায়ী নির্ধারিত আদালত কর্তৃক উক্ত অপরাধ বিচার্য বলিয়া গণ্য হইবে এবং যদি অনুরূপ কোন অপরাধ বিচার করিবার এখতিয়ার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় শ্রেণীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের না থাকে, তাহা হইলে উক্ত অপরাধ, তফসিলে বর্ণিত আইনের অধীন অপরাধ হওয়া সত্ত্বেও, এই আইনের অধীন আমলে গ্রহণ করিয়া দণ্ড আরোপ করিবার এখতিয়ার এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের থাকিবে না।

(৪) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিবার সময় যদি অনুরূপ কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট এইরূপ মনে হয় যে, অপরাধ স্বীকারকারী ব্যক্তির সংশ্লিষ্ট অপরাধ এমন গুরুতর যে, এই আইনের অধীন নির্ধারিত দণ্ড আরোপ করা হইলে উহা যথোপযুক্ত দণ্ডারোপ হইবে না, তাহা হইলে তিনি উক্ত ব্যক্তিকে দণ্ড আরোপ না করিয়া তাহার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়েরের ব্যবস্থা করিবেন।

(৫) মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিবার সময় যদি এইরূপ কোন অপরাধ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর সন্মুখে সংঘটিত বা উদ্ঘাটিত হয়, যাহা সেশন আদালত কিংবা অন্য কোন উচ্চতর বা বিশেষ আদালত বা ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক বিচার্য, তাহা হইলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট উক্ত অপরাধের সহিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ এজাহার হিসাবে গণ্য করিবার জন্য সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ প্রদান করিবেন।

মোবাইল কোর্টের পরিচালনা পদ্ধতি

৭। (১) এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিবার সময় কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ আমলে গৃহীত হইবার পরপরই মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট সংক্ষিপ্ত অভিযোগ লিখিতভাবে গঠন করিয়া উহা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে পাঠ ও ব্যাখ্যা করিয়া শুনাইবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি গঠিত অভিযোগ স্বীকার করেন কি না তাহা জানিতে চাহিবেন এবং স্বীকার না করিলে তিনি কেন স্বীকার করেন না উহার বিস্তারিত ব্যাখ্যা জানিতে চাহিবেন।

(২) অভিযুক্ত ব্যক্তি অভিযোগ স্বীকার করিলে তাহার স্বীকারোক্তি লিপিবদ্ধ করিয়া উহাতে অভিযুক্তের স্বাক্ষর বা ক্ষেত্রমত, টিপসই এবং দুইজন উপস্থিত স্বাক্ষীর স্বাক্ষর বা, ক্ষেত্রমত, টিপসই গ্রহণ করিতে হইবে; এবং অতঃপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তাহার বিবেচনায় যথোপযুক্ত দণ্ড আরোপ করিয়া লিখিত আদেশ প্রদান করিবেন এবং উক্ত আদেশে স্বাক্ষর করিবেন।

(৩) অভিযোগ অস্বীকার করিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক হইলে, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট তাহাকে অভিযোগ হইতে অব্যাহতি প্রদান করিবেন।

(৪) অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক উপ-ধারা (৩) এর অধীন প্রদত্ত ব্যাখ্যা সন্তোষজনক না হইলে মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট অভিযোগটি বিচারার্থে উপযুক্ত এখতিয়ার সম্পন্ন আদালতে প্রেরণ করিবেন।

দণ্ড আরোপের সীমাবদ্ধতা

৮। (১) এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া দণ্ড আরোপ করিবার ক্ষেত্রে, সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনে যে দণ্ডই নির্ধারিত থাকুক না কেন, দুই বছর এর অধিক কারাদণ্ড এই আইনের অধীন আরোপ করা যাইবে না।

(২) সংশ্লিষ্ট অপরাধের জন্য সংশ্লিষ্ট আইনে যে অর্থদণ্ড নির্ধারিত রহিয়াছে উক্ত অর্থদণ্ড বা অর্থদণ্ডে নির্ধারিত সীমার মধ্যে যে কোন পরিমাণ অর্থদণ্ড আরোপ করা যাইবে।

(৩) ফৌজদারী কার্যবিধির অধীন যে পদ্ধতিতে অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড আদায়যোগ্য বা আরোপনীয় হইয়া থাকে, এই আইনের অধীন অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড অনুরূপ পদ্ধতিতে আদায়যোগ্য ও আরোপনীয় হইবে।

অর্থদণ্ড আদায় সম্পর্কিত বিধান

৯। (১) এই আইনের অধীন কোন অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে দোষী সাব্যস্ত করিয়া কেবল অর্থদণ্ড আরোপ করা হইলে উক্ত অর্থদণ্ডের নির্ধারিত টাকা তাৎক্ষণিকভাবে আদায়যোগ্য হইবে।

(২) আরোপিত অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করা না হইলে অনাদায়ে আরোপিত কারাদণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হইবে।

(৩) অর্থদণ্ড তাৎক্ষণিকভাবে আদায় করিতে ব্যর্থতার কারণে আরোপনীয় বিনাশ্রম কারাদণ্ড তিন মাসের অধিক হইবে না।

(৪) কারাদণ্ড ভোগ করিবার সময় অভিযুক্তের পক্ষে অর্থদণ্ডের সমুদয় অর্থ আদায় করা হইলে অভিযুক্ত কারাবাস হইতে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তিলাভ করিবেন।

(৫) এই ধারার অধীন অর্থদণ্ড আদায় করিতে ব্যর্থতার কারণে আরোপিত কারাদণ্ড আংশিক বা সম্পূর্ণ ভোগ করিবার কারণে অর্থদণ্ডের সংশ্লিষ্ট অর্থ আদায় অযোগ্য হইবে না; এবং এই ক্ষেত্রে Penal Code, 1860 এর ধারা ৬৪ হইতে ৭০ এর বিধানাবলী, যথানিয়ম, প্রযোজ্য হইবে।

দোবারা বিচার ও শাস্তি নিষেধ

১০। এই আইনের অধীন দণ্ডপ্রাপ্ত কোন ব্যক্তিকে একই অপরাধে পুনর্বার বিচার করা কিংবা দণ্ড আরোপ করা যাইবে না এবং অনুরূপ ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৪০৩ এর বিধান প্রযোজ্য হইবে :

তবে শর্ত থাকে যে, ধারা ৭ এর উপ-ধারা (৩) এর অধীন অভিযোগ হইতে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ব্যক্তি ফৌজদারী কার্যবিধির ধারা ৪০৩ এর অর্থে নির্দোষ সাব্যস্ত (acquitted) বলিয়া গণ্য হইবেন না।

ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক ক্ষমতা প্রয়োগ
১১। ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটগণের তাহাদের স্ব স্ব আঞ্চলিক অধিক্ষেত্রে এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করিয়া দণ্ড আরোপের ক্ষমতা থাকিবে।
মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে পুলিশ, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট সরকারী কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা প্রদানের বাধ্যবাধকতা

১২। ১) এই আইনের অধীন মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশ বাহিনী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট সরকারী কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানের সহায়তা চাহিলে পুলিশ বাহিনী, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা সংশ্লিষ্ট সরকারী কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান অনুরূপ সহায়তা প্রদান করিবে।

(২) মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষেত্রে, উক্ত মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর সংশ্লিষ্ট অপরাধ সংশ্লেষে তল্লাশি (search), জব্দ (seizure) এবং প্রয়োজনে জব্দকৃত বস্তু বিলিবন্দেজ (disposal) করিবার ক্ষমতা থাকিবে।

(৩) উপ-ধারা (২) এর অধীন ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির সংশ্লিষ্ট বিধান, যতদূর সম্ভব, অনুসরণ করিতে হইবে৷

আপীল

১৩। (১) এই আইনের অধীন আরোপিত দণ্ড দ্বারা সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি, সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অধিক্ষেত্রের ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট আপীল দায়ের করিতে পারিবেন।

(২) ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট নিজে উক্ত আপীল শুনানী ও নিষ্পত্তি করিবেন অথবা তাঁহার অধীনস্থ যে কোন অতিরিক্ত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট এর নিকট উহা শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করিতে পারিবেন।

(৩) ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কিংবা অতিরিক্ত ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রদত্ত দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপীল সংশ্লিষ্ট অধিক্ষেত্রের দায়রা জজের নিকট দায়ের করিতে হইবে, এবং দায়রা জজ নিজে উক্ত আপীল শুনানী ও নিষ্পত্তি করিবেন কিংবা কোন অতিরিক্ত দায়রা জজের নিকট উক্ত আপীল শুনানী ও নিষ্পত্তির জন্য প্রেরণ করিবেন।

(৪) এই ধারার অধীন আপীল নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ফৌজদারী কার্যবিধির অধ্যায় ৩১ এর বিধানাবলী, যতদূর সম্ভব, প্রয়োজনীয় অভিযোজনসহকারে প্রযোজ্য হইবে।

(৫) এই ধারার অধীন দায়েরকৃত আপীল ফৌজদারী কার্যবিধির কেবল ধারা ৪১২ এর নির্ধারিত পরিসরে সীমিত থাকিবে।

সরল বিশ্বাসে কৃত কার্য রক্ষণ
১৪। এই আইন বা তদধীন প্রণীত বিধির অধীন সরল বিশ্বাসে কৃত, বা কৃত বলিয়া বিবেচিত, কোন কার্যের জন্য কোন ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হইলে তিনি মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বা ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট বা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সহিত সংশ্লিষ্ট অন্য কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোন দেওয়ানী বা ফৌজদারী মামলা বা অন্য কোন প্রকার আইনগত কার্যধারা রুজু করিতে পারিবেন না।
তফসিল সংশোধনের ক্ষমতা
১৫। সরকার, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, তফসিল সংশোধন করিতে পারিবে৷
বিধি প্রণয়নের ক্ষমতা
১৬। সরকার এই আইনের উদ্দেশ্য পূরণকল্পে, সরকারী গেজেটে প্রজ্ঞাপন দ্বারা, বিধি প্রণয়ন করিতে পারিবে৷
রহিতকরণ ও হেফাজত

১৭। (১) মোবাইল কোর্ট অধ্যাদেশ, ২০০৯ (২০০৯ সনের ৬ নং অধ্যাদেশ) এতদ্‌দ্বারা রহিত করা হইল।

(২) অনুরূপ রহিতকরণ সত্ত্বেও, রহিত অধ্যাদেশ এর অধীন কৃত কোন কাজ কর্ম, গৃহীত কোন ব্যবস্থা বা কার্যধারা এই আইনের অধীন কৃত বা গৃহীত হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে।

সূত্র: মোবাইল কোর্ট আইন ২০০৯ : ডাউনলোড

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

admin has 2985 posts and counting. See all posts by admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *