সঞ্চয়পত্র ক্রয়ের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র টিআইএন সার্টিফিকেট খুলে তা জমা দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিলেই হত। কিন্তু এখন থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বা পোস্টাল সেভিংস কিনতে হলে আয়কর জমার প্রমাণ দেখাতে হবে। যেখানে তিনি সঞ্চয়পত্র কেনার আবেদন করবেন, সেখানেই প্রমাণ জমা দিতে হবে। মোট কথা যাদের টিআইএন বা টিন সার্টিফিকেট দিয়ে সঞ্চয়পত্র কেনা রয়েছে তাদের সঞ্চয়পত্র ক্রয় ৫ লক্ষ টাকা ক্রস বা অতিক্রম করলেই টিন নয় আয়কর রির্টাণ দাখিলের সনদ প্রয়োজন পড়বে।
আয়কর জমার প্রমাণ?
আয়কর জমার প্রমাণ হচ্ছে রিটার্ণ বা আয়কর জমা দেওয়ার পর যে “আয়কর প্রাপ্তিস্বীকার পত্র” জমার রশিদ প্রদান করা হয়। রিটার্ণ বা আয়কর জমার রিসিপ্ট বা রশিদ যা দিয়ে প্রমান হয় যে, আপনি রিটার্ণ বা আয়কর জমা দিয়েছেন। তাই টিআইএন সার্টিফিকেটের সাথে জমা দিতে হবে আয়কর সনদও। ৫ লক্ষ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র বা পোস্টাল সেভিংস ক্রয়ের ক্ষেত্রে রিটার্ণ জমার প্রমানক দাখিল করতে হবে।
সঞ্চয়পত্র ছাড়া আর কোন কোন ক্ষেত্রে রিটার্ণ দাখিল করে প্রমান জমা দিতে হবে?
নতুন অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে এমন ৩৮ ধরনের সেবা নিতে হলে রিটার্ন জমা দেয়ার প্রমাণ বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। জাতীয় সংসদে দেয়া বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করদাতার সংখ্যা এবং করের পরিমাণ বাড়াতে কিছু সেবা পাওয়ার জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেয়া হবে, সেখানেই এসব প্রমাণ দেখাতে হবে। কিছু সেবায় TIN নয় রিটার্ন জমার প্রমাণক জমা দিতে হবে।
ব্যাংক বা ডাকঘর যদি আয়কর জমার সনদ গ্রহণ না করে?
জাতীয় সংসদে দেয়া বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, করদাতার সংখ্যা এবং করের পরিমাণ বাড়াতে কিছু সেবা পাওয়ার জন্য আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণ উপস্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। যে প্রতিষ্ঠান থেকে সেবা নেয়া হবে, সেখানেই এসব প্রমাণ দেখাতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠান যদি সেবাগ্রহীতার কাছ থেকে এসব প্রমাণ সংগ্রহ করে না রাখে, তাহলে সেসব প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আপনি পরিবার সঞ্চয়পত্র, ৩ অন্তর মুনাফা ভিত্তিক সঞ্চয়পত্র, পেনশনার সঞ্চয়পত্র ও বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র যে সঞ্চয়পত্রই ক্রয় করুন না কেন? মোট সঞ্চয়পত্র ক্রয় ৫ লক্ষ টাকা অতিক্রম করলেই আপনাকে রিটার্ণ জমা দিয়েছেন কিনা তার প্রমানক হিসাবে জমার রশিদ সংযুক্ত করতে হবে। যদি আপনি আয়করের আওতায় নাও পড়েন তবুও আপনাকে জিরো রিটার্ণ দাখিল করতে হবে।
অনলাইনে জিরো রিটার্ণ দাখিল করে কিভাবে?
চলতি ২০২২-২৩ কর বৎসরের রিটার্ণ দাখিল করুন অনলাইনে। অনলাইনে ই-রিটার্ণ দাখিল এখন খুবই সহজ বিষয়, কোন আয়কর এক্সপার্ট ছাড়া বা ট্যাক্স এডভোকেট ছাড়াই এখন টিনধারীগণ রিটার্ণ দাখিল করতে পারবেন। অনলাইনে অগ্রিম আয়কর পরিশোধ, উৎসে কর পরিশোধ ধারীগণ অনলাইনে রিটার্ণ দাখিল করতে পারবেন না। যারা শুধুমাত্র টিনধারী কিন্তু আয়করের আওতায় আসেনি এবং যারা কেবল মাত্র নগদ অর্থ অনলাইনে পরিশোধের মাধ্যমে রিটার্ণ দাখিল করতে চান তাদের জন্য ই-রিটার্ণ।
প্রথমে অফলাইনে রিটার্ণটি প্রস্তুত করুন এবং সমস্ত কাগজপত্র হাতে নিয়ে বসে পড়ুন একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার নিয়ে। আপনি যে সকল তথ্য ইনপুট দিবেন তা নিয়েই রিটার্ণ ফরম প্রস্তুত হয়ে যাবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে তাই আর কোন ভাবনা চিন্তা নয়, টিন ধারী হয়ে থাকলে অবশ্যই এ বছর আমরা রিটার্ণ দাখিল করবো। টিনধারীর হিসাবে ট্যাক্স অফিসের পত্র পেতে না চাইলে অবশ্যই অনলাইনে হলেও রিটার্ণটি দাখিল করে ফেলুন নিচে টিউটোরিয়া লিংক দেয়া আছে, আপনি একটু চেষ্টার করলেই পারবেন ইনশা-আল্লাহ। অনলাইনে দাখিল করুন জিরো রিটার্ণ – Zero Return Submission by online – Zero e return
অনলাইনে না পারলে ১ পাতার রিটার্ণ দাখিল ফরমে হলেও রিটার্ণ দাখিল করতে হবে
যেসকল ব্যক্তিগত করদাতার বার্ষিক আয় ৪,০০,০০০ টাকার কম এবং মোট সম্পদ ৪০,০০,০০০ টাকার নিচে শুধুমাত্র তারা এই ফরম ব্যবহার করতে পারবে। তবে শর্ত থাকে যে, যাদের মোটর গাড়ি আছে অথবা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাড়ী/অ্যাপার্টমেন্ট আছে তাদের জন্য প্রযোজ্য নয়। প্রতিবছর আয়কর দাখিল স্বল্প আয়ের কর্মচারীদের জন্য একটি বিরাট ঝামেলার ব্যাপার। সাধারণ জনগণ যাতে আয়করমুখী হতে পারে এবং সহজে রিটার্ণ দাখিল করতে পারে এ জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ০১ পাতার রিটার্ণ ফরম তৈরি করেছে। এছাড়াও অনলাইনেও ঘরে বসেই আয়কর রিটার্ণ দাখিল করা যাবে। আয়কর রিটার্ণ দাখিল করুন ০১ পৃষ্ঠার আয়কর রিটার্ন ফরমে!