জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে সর্বোচ্চ ১০টি সিম রাখার নির্দেশ ২০২৫। অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্টারের সময়সীমা ঘোষণা দিয়েছে সরকার?
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (NID) বিপরীতে নিবন্ধিত মোবাইল সিমের সংখ্যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১০টি সিম নিবন্ধিত রাখতে পারবেন।
যেসকল গ্রাহকের অধীনে এই নির্ধারিত সীমার অতিরিক্ত সিম নিবন্ধিত আছে, তাদেরকে ৩১ অক্টোবর ২০২৫ (চিত্রে দেওয়া সময়সীমা পুরোনো, তবে সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা প্রযোজ্য) তারিখের মধ্যে তাদের পছন্দসই ১০টি সিম রেখে বাকি সিমগুলো ডি-রেজিস্ট্রার (নিবন্ধন বাতিল) অথবা মালিকানা পরিবর্তন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রক্রিয়াটি সংশ্লিষ্ট মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।
🚨 অতিরিক্ত সিম ডি-রেজিস্টারের সময়সীমা
বিটিআরসি কর্তৃক নির্ধারিত সময়সীমা হলো: ৩১ অক্টোবর ২০২৫ (সাম্প্রতিক নির্দেশিকা অনুসারে)। এই সময়ের মধ্যে অতিরিক্ত সিমের নিবন্ধন বাতিল বা মালিকানা পরিবর্তন না করলে, কমিশন স্বয়ংক্রিয়ভাবে দৈবচয়নের মাধ্যমে অতিরিক্ত সিমগুলি বাতিল করে দেবে।
📲 সিম যাচাই পদ্ধতি
কোনো জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে ঠিক কতগুলো সিম নিবন্ধিত আছে, তা যাচাই করার জন্য গ্রাহকদের একটি সহজ পদ্ধতি ব্যবহার করতে বলা হয়েছে:
- আপনার যেকোনো মোবাইল ফোন থেকে *১৬০০১# ডায়াল করুন।
- এরপর আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের শেষ ৪টি ডিজিট ইনপুট দিয়ে ‘Send’ (সেন্ড) করুন।
- ফিরতি মেসেজে আপনি আপনার এনআইডির বিপরীতে নিবন্ধিত সিমের সংখ্যা জানতে পারবেন।
⚠️ নির্দেশনা পালনে ব্যর্থ হলে
বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে যে, কোনো গ্রাহক যদি এই নির্ধারিত প্রক্রিয়ায় সিম ডি-রেজিস্ট্রার বা মালিকানা পরিবর্তনে ব্যর্থ হন, তবে বিটিআরসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে অতিরিক্ত সিমসমূহ দৈবচয়নের (random selection) মাধ্যমে বাতিল করবে।
📘 প্রেক্ষাপট
সিম কার্ডের অবৈধ ব্যবহার, যেমন অবৈধ ভিওআইপি কার্যক্রম, আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং অন্যান্য ডিজিটাল অপরাধ রোধ করার পাশাপাশি সঠিক গ্রাহক শনাক্তকরণ নিশ্চিত করতে বিটিআরসি এই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগে, একজন গ্রাহক সর্বোচ্চ ১৫টি সিম নিবন্ধিত রাখতে পারতেন, যা বর্তমানে কমিয়ে ১০টিতে নামিয়ে আনা হয়েছে।
এই জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে, বিটিআরসি দেশের মোবাইল গ্রাহকদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এবং ডিজিটাল সুরক্ষার জন্য দ্রুত তাদের সিমের নিবন্ধন সংখ্যা যাচাই ও সমন্বয় করার জন্য জোর দিয়েছে।

কত তারিখের মধ্যে ১০টির বেশি সিম থাকলে বাতিল করতে হবে?
বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-এর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, একটি জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) বিপরীতে ১০টির বেশি নিবন্ধিত সিম থাকলে, সেই অতিরিক্ত সিমগুলো বাতিল করার বা মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। ৩০ অক্টোবরের পর কোনো গ্রাহকের নামে ১০টির বেশি সিম থাকলে, বিটিআরসি দৈবচয়নের ভিত্তিতে সেই অতিরিক্ত সিমগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাতিল বা ডি-অ্যাকটিভেট করা শুরু করবে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, মোবাইল অপারেটররা ১ নভেম্বর থেকে এই অতিরিক্ত সিমগুলো বন্ধ করা শুরু করবে এবং ডিসেম্বরের শেষ নাগাদ এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হবে।


