আইবাস++ । পে ফিক্সেশন । ই-ফাইলিং

১৫% বিশেষ সুবিধা এবং ১০ম গ্রেডের বিশেষ সুবিধা হার ২০২৫ । ১৫% বিশেষ সুবিধা: কাদের জন্য প্রযোজ্য?

সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫% বিশেষ সুবিধা একটি গুরুত্বপূর্ণ আর্থিক প্রণোদনা। এই সুবিধাটি মূলত সেইসব কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা নবম বা তার ওপরের গ্রেড থেকে সপ্তম বা ততোধিক গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছেন। অর্থাৎ, পদোন্নতির প্রাথমিক ধাপটি যদি নবম গ্রেড থেকে শুরু হয় এবং পরবর্তী পদোন্নতি সপ্তম বা তারও ওপরের গ্রেডে হয়, তবেই একজন কর্মচারী এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন– ১৫% বিশেষ সুবিধা এবং ১০ম গ্রেডের বিশেষ সুবিধা হার ২০২৫

উদাহরণস্বরূপ, একজন শিক্ষক যদি ১০ম গ্রেড থেকে নবম গ্রেডে পদোন্নতি পান, তবে তিনি এই ১৫% বিশেষ সুবিধার আওতায় আসবেন না। কারণ, এই সুবিধা পাওয়ার পূর্বশর্ত হলো পদোন্নতির শুরুটা নবম গ্রেড থেকে হওয়া। তবে, যদি কোনো শিক্ষক নবম গ্রেডে আসার পর পরবর্তীতে সপ্তম বা তারও ওপরের গ্রেডে পদোন্নতি পান, তাহলে তিনি এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবেন।

১০ম গ্রেডের বিশেষ সুবিধা হার- ১০ম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য বর্তমানে সরাসরি কোনো ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য নয়। এই সুবিধাটি মূলত উচ্চতর গ্রেডের পদোন্নতিকে উৎসাহিত করার জন্য চালু করা হয়েছে। ১০ম গ্রেডের কর্মচারীদের জন্য অন্যান্য আর্থিক সুবিধা, যেমন বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট এবং অন্যান্য ভাতা প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী প্রদান করা হয়। তবে, এই সুবিধা প্রাপ্তির জন্য ১০ম গ্রেড থেকে সরাসরি কোনো বিশেষ হার নির্ধারিত নেই। এই বিষয়ে সরকারি নির্দেশিকা এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুসরণ করা হয়। সরকারি নীতিমালায় ভবিষ্যতে কোনো পরিবর্তন এলে সে অনুযায়ী নতুন নিয়ম কার্যকর হতে পারে।

১৫% বিশেষ সুবিধা: কাদের জন্য প্রযোজ্য? সরকারি কর্মচারীদের জন্য ১৫% বিশেষ সুবিধা হলো একটি আর্থিক প্রণোদনা, যা নির্দিষ্ট কিছু শর্ত পূরণ করলে পাওয়া যায়। এই সুবিধাটি মূলত সেইসব কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য, যারা নবম বা তার ওপরের গ্রেড থেকে সপ্তম বা ততোধিক গ্রেডে পদোন্নতি পেয়েছেন অর্থাৎ, এই সুবিধা পেতে হলে পদোন্নতির শুরুটা অবশ্যই নবম গ্রেড থেকে হতে হবে। যদি কোনো কর্মচারী নবম গ্রেডে আসার পর পরবর্তীতে সপ্তম বা তারও ওপরের গ্রেডে পদোন্নতি পান, তাহলে তিনি এই বিশেষ সুবিধা পাওয়ার যোগ্য হবেন।

সরকারি কর্মচারীদের গ্রেড-১০ থেকে গ্রেড-২০ পর্যন্ত কর্মচারীরা তাদের মূল বেতনের ১৫% হারে এই সুবিধা পাবেন।  তবে উচ্চতর গ্রেড, সিলেকশন গ্রেড বা অন্য কোন কারণে ১০ গ্রেডের কেউ ৮ম গ্রেডে বেতন পেলেও তিনি ১৫% বিশেষ সুবিধা পাবেন

উদাহরণস্বরূপ, একজন সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক যদি ১০ম গ্রেড থেকে ৯ম গ্রেডে পদোন্নতি পান, তবে তিনি সরাসরি এই সুবিধার আওতায় আসবেন না। কিন্তু, যদি তিনি ৯ম গ্রেডে থাকার পর ৭ম গ্রেড বা তার চেয়ে উচ্চতর কোনো গ্রেডে পদোন্নতি পান, তাহলে এই সুবিধাটি তার জন্য প্রযোজ্য হবে। সংক্ষেপে, পদোন্নতির প্রাথমিক ধাপটি নবম গ্রেড থেকে শুরু হলে এবং পরবর্তী পদোন্নতি উচ্চতর গ্রেডে হলে এই ১৫% বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য।

Caption: ibas++

২০২৫ সালে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সরকার একটি ‘বিশেষ সুবিধা’ ঘোষণা করেছে। এটি মহার্ঘ ভাতা নয়, বরং মূল বেতনের ওপর নির্দিষ্ট হারে একটি প্রণোদনা।

  1. কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১ জুলাই, ২০২৫। 
  2. সুবিধার হার: গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৯ পর্যন্ত কর্মচারীরা তাদের মূল বেতনের ১০% হারে এই সুবিধা পাবেন। গ্রেড-১০ থেকে গ্রেড-২০ পর্যন্ত কর্মচারীরা তাদের মূল বেতনের ১৫% হারে এই সুবিধা পাবেন। 
  3. ন্যূনতম সুবিধা: চাকরিরত কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম মাসিক বিশেষ সুবিধা হবে ১,৫০০ টাকা। পেনশনভোগীদের জন্য ন্যূনতম মাসিক বিশেষ সুবিধা হবে ৭৫০ টাকা। (পূর্বে এই পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১০০০ টাকা এবং ৭৫০ টাকা, যা পরে বাড়ানো হয়েছে)। 
  4. যাদের জন্য প্রযোজ্য: জাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি (বেসামরিক), স্বায়ত্তশাসিত, এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ। ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও পুলিশ বাহিনীর কর্মচারীগণ। পুনঃস্থাপনকৃত পেনশনভোগীসহ সব পেনশনভোগী। 
  5. যাদের জন্য প্রযোজ্য নয়: যারা বিনা বেতনে ছুটিতে (Leave without pay) আছেন। যেসব অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী তাদের মোট পেনশনের ১০০% সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন এবং এখনো পেনশন পুনঃস্থাপনের জন্য উপযুক্ত হননি। এই সুবিধাটি সরকারি কর্মচারীদের জন্য আর্থিক সহায়তার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা তাদের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে স্বস্তি দেবে।

মূল গ্রেড বা সাবস্টেনটিভ গ্রেড কি?

‘সাবস্টেনটিভ গ্রেড’ বা ‘মূল গ্রেড’ হলো একজন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর সেই স্থায়ী পদমর্যাদা, যা তিনি নিয়োগ বা পদোন্নতির মাধ্যমে অর্জন করেন। এটি তার প্রকৃত গ্রেড, যার উপর ভিত্তি করে তার মূল বেতন এবং অন্যান্য সুবিধা নির্ধারিত হয়। সাধারণত, মূল গ্রেড বলতে যা বোঝানো হয়: নিয়োগের সময়কার গ্রেড: যখন কোনো ব্যক্তি প্রথম সরকারি চাকরিতে যোগদান করেন, তখন যে গ্রেডে তার নিয়োগ হয়, সেটিই তার মূল বা সাবস্টেনটিভ গ্রেড। উদাহরণস্বরূপ, একজন সহকারী শিক্ষক যদি দশম গ্রেডে নিয়োগ পান, তাহলে তার মূল গ্রেড হলো দশম। পদোন্নতির মাধ্যমে প্রাপ্ত গ্রেড: একজন কর্মচারী যখন বিধিমালা অনুযায়ী পদোন্নতি পান, তখন তার নতুন পদমর্যাদা বা গ্রেডটি তার মূল গ্রেড হিসেবে গণ্য হয়।

টাইম স্কেল বা উচ্চতর গ্রেডের সাথে এর পার্থক্য:

অনেক সময় একজন কর্মচারী দীর্ঘদিন একই পদে কাজ করার কারণে স্বয়ংক্রিয়ভাবে উচ্চতর গ্রেড বা টাইম স্কেল পান। কিন্তু এটি তার মূল গ্রেড পরিবর্তন করে না। উদাহরণস্বরূপ, একজন সহকারী শিক্ষক দশম গ্রেডে যোগদান করার পর যদি ১০ বছর চাকরি করার কারণে উচ্চতর গ্রেড পেয়ে অষ্টম গ্রেডে উন্নীত হন, তার বেতন অষ্টম গ্রেডের স্কেল অনুযায়ী নির্ধারিত হলেও, তার মূল গ্রেড বা সাবস্টেনটিভ গ্রেড দশমই থাকে।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ?

সম্প্রতি ঘোষিত বিশেষ সুবিধার ক্ষেত্রে এই মূল গ্রেডের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই বিশেষ সুবিধা কর্মচারীর টাইম স্কেল বা উচ্চতর গ্রেডের উপর ভিত্তি করে নয়, বরং তার মূল বা সাবস্টেনটিভ গ্রেডের উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হবে। অর্থাৎ, কোনো কর্মচারী যদি তার মূল গ্রেড (যেমন, ১০ম) অনুযায়ী ১৫% সুবিধা পান, কিন্তু উচ্চতর গ্রেড (যেমন, ৯ম) পাওয়ার কারণে তার বেতনের স্কেল পরিবর্তন হয়, তবুও তিনি তার মূল গ্রেড অনুযায়ীই সুবিধা পাবেন।

সংক্ষেপে, ‘সাবস্টেনটিভ গ্রেড’ হলো একজন কর্মচারীর সেই প্রকৃত এবং স্থায়ী পদমর্যাদা, যা তার নিয়োগ বা পদোন্নতির মূল ভিত্তি।

 

সরকারি কর্মচারীদের বিশেষ সুবিধা (২০২৫)

বিষয়বস্তুবিস্তারিত
সুবিধার ধরনমূল বেতনের উপর প্রণোদনা (মহার্ঘ ভাতা নয়)
কার্যকর হওয়ার তারিখ১ জুলাই, ২০২৫
সুবিধা প্রাপ্তির যোগ্যতাজাতীয় বেতন স্কেলের আওতাভুক্ত সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীগণ এবং পেনশনভোগীগণ
সুবিধা হার (কর্মরত)গ্রেড-১ থেকে গ্রেড-৯: মূল বেতনের ১০%<br>গ্রেড-১০ থেকে গ্রেড-২০: মূল বেতনের ১৫%
ন্যূনতম সুবিধা (মাসিক)কর্মরত কর্মচারী: ১,৫০০ টাকা<br>পেনশনভোগী: ৭৫০ টাকা

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে প্রশ্ন থাকলে বা ব্যাখ্যা জানতে পোস্টের নিচে কমেন্ট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *