স্বায়ত্তশাসিত/স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান/সংবিধিবদ্ধ সংস্থা/কর্পোরেশনের নিয়োগবিধি, নীতিমালা বা যে কোন আর্থিক সুবিধার ঘোষণা অর্থমন্ত্রণালয় হতে অনুমোদন করিয়ে নিতে হবে –Autonomous Bodies Regulations Circulation
স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান বলতে কি বুঝায়? –স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান হলো এমন একটি প্রতিষ্ঠান যা নিজস্ব নিয়ম ও ব্যবস্থাপনা অনুসারে চালিত হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলি স্বাধীনভাবে নির্ধারিত নীতি ও পদ্ধতিতে কাজ করে এবং কোনো সরকারী বা বাহিরবত্সরভূত নিয়মাবলীর অধীনে না থাকে। স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানগুলি সাধারণত সার্বিক উন্নয়ন এবং ব্যবস্থাপনা করে যেতে পারে এবং নিজস্ব স্বাধীনতা ও স্বয়ংশাসন ধারণ করে। উদাহরণস্বরূপ, নির্মাণশীল কোম্পানিগুলি, বিত্তীয় প্রতিষ্ঠানগুলি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি, সামাজিক সংগঠনগুলি ইত্যাদি কিছু স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানের উদাহরণ।
আইন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত/স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান/সংবিধিবদ্ধ সংস্থা/কর্পোরেশনের প্রবিধানমালা প্রণয়নকালে ভবিষ্য তহবিল/পেনশন/আনুতোষিকসহ অন্যান্য আর্থিক সংশ্লেষ সংক্রান্ত বিষয় প্রবিধানমালায় অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে Rules of Business, 1996 অনুযায়ী অর্থ বিভাগের মতামত গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে, কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান প্রবিধানমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের মতামত গ্রহণ না করেই এসংক্রান্ত প্রবিধানমালা জারি করছে। ফলে সমজাতীয় প্রতিষ্ঠান/সংস্থাসমূহের আর্থিক বিষয়াদির মধ্যে ভিন্নতা সৃষ্টি হচ্ছে।
স্বায়ত্তশাসিত/স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান/সংবিধিবদ্ধ সংস্থা/কর্পোরেশন কর্তৃক প্রবিধানমালা প্রণয়নকালে ভবিষ্য তহবিল/পেনশন/আনুতোষিকসহ অন্যান্য আর্থিক সংশ্লেষ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ বিভাগের মতামত গ্রহণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
স্বায়ত্তশাসিত/স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠান/সংবিধিবদ্ধ সংস্থা/কর্পোরেশন পরিচালনা নীতি বা প্রবিধান / যে আইন মেনে একটি স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হয়
স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের পেনশন নাই, জিপিএফ নয়, সিপিএফ রয়েছে এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানের নীতিমালায় পরিচালিত হলেও এগুলো সরকারি বা রাজস্বখাতভূক্ত প্রতিষ্ঠান নয়।
বাংলাদেশে স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানের তালিকা অনেক ব্যাপক এবং বৃহৎ। এই তালিকায় কিছু প্রমুখ স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানগুলি উল্লেখ করা হলো:
- বাংলাদেশ ব্যাংক: বাংলাদেশের প্রধান স্ব-শাসিত ব্যাংক। এটি দেশের মূল মুদ্রাস্ফীতি ব্যবস্থা, মূল্যস্থাপন ও অর্থনৈতিক নীতিমালা পরিচালনা করে।
- বাংলাদেশ প্রশাসনিক সেবা (বিসিএস): বাংলাদেশের সরকারী প্রশাসনিক সেবার মূল নিকট কেন্দ্র। এটি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ, প্রশিক্ষণ এবং ব্যাবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজ করে।
- বাংলাদেশ প্রদীপ্তি কর্পোরেশন (বিপিডিসিসি): বাংলাদেশের পাবলিক পাওয়ার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এটি বিদ্যুৎ উৎপাদন, পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন এবং বিদ্যুৎ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজ করে।
- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন: বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন লিমিটেড, সংক্ষেপে বিআরটিসিএল) বাংলাদেশের মূল সড়ক পরিবহন প্রতিষ্ঠান। এটি সড়ক যাতাযাত, মালবাহী পরিবহন এবং পাবলিক পরিবহন পরিচালনা করে। বিআরটিসিএল সড়ক নেটওয়ার্কের নির্মাণ, রক্ষণ, প্রশিক্ষণ এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম সম্পাদন করে।
- বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিগম লিমিটেড (বিটিএসএল): দেশের প্রধান টেলিকমিউনিকেশন প্রতিষ্ঠান। এটি টেলিফোন, ইন্টারনেট সংযোগ, মোবাইল টেলিফোন পরিষেবা প্রদান করে।
- বাংলাদেশ বিমান প্রতিষ্ঠান (বিমান বাংলাদেশ): দেশের জাতীয় বিমান পরিষেবা প্রতিষ্ঠান। এটি বিমান সংযোগ, টিকিট বিক্রয়, বিমান অভিযান পরিচালনা এবং বিমান ব্যবস্থাপনা সম্পর্কিত কাজ করে।
- বাংলাদেশ রেলওয়ে (বিআর): দেশের জাতীয় রেলপথ পরিষেবা প্রতিষ্ঠান। এটি রেলপথ নেটওয়ার্ক পরিচালনা, টিকিট বিক্রয়, যাত্রী পরিবহন ও বিনোদন পরিচালনা সম্পর্কিত কাজ করে।
স্বশাসিত প্রতিষ্ঠানে কি পেনশন আছে?
সাধারণত নাই। তবে নির্ধারিত ক্রাইটেরিয়া পূরণ সাপেক্ষ পেনশন চালু করার বিধান রয়েছে। স্ব-শাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মচারীদের পেনশন সুবিধা থাকতে পারে। পেনশন হলো একটি নিয়মিত অর্থনৈতিক সুবিধা যা একজন কর্মচারীর সেবার অবধি বা বেয়ার কর্মজীবনের পরে তাঁকে প্রদান করা হয়। এটি কর্মচারীদের পরিচ্ছন্নতা ও আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য তাদের জীবনযাপনের সুবিধা প্রদান করে। পেনশন সুবিধা সাধারণত কর্মচারীর সময় নির্ধারিত ভাগের বেতনের উপর নির্ভর করে এবং তাঁর সময়ের সেবা দ্বারা সংগৃহীত বেতনের উপর উপর নির্ভর করে বিনিয়োগ করা হয়। পেনশন সাধারণত বৃদ্ধি করা হয় তথা প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বা বেতনের সমপরিমাণ অর্থ প্রদান করে।