Family Pension New Order 2025 । এখন ২৫ উর্ধ্ব বয়সী সন্তান ১৫ বছরের অবশিষ্ট সময় পেনশন পাবেন না?
সরকারি কর্মচারীগণ অবসরে যাওয়ার পর ১৫ বছরের মধ্যে মারা গেলে ২৫ বছর উর্ধ্ববয়সী সন্তান পেনশন পেতেন যদি স্ত্রী/স্বামী/প্রতিবন্ধী সন্তান/২৫ বছরের নিচে কোন সন্তান না থাকতো-এটি এখন বন্ধ করে দিয়েছে অর্থমন্ত্রণালয়–সে ব্যাপারেই স্পষ্টীকরণ জারি করেছে- Family Pension New Order 2025
পেনশন বিধিমালা ২০২০ এর অনুচ্ছেদ ৩.০৪ পুত্র ও বিবাহিতা কন্যা সন্তানের বয়সসীমা নিয়ে কি বলা আছে? পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের বয়সসীমা হইবে ২৫ বৎসর। প্রচলিত বিধানের যেই সকল ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের কোন বয়সসীমা বর্তমানে উল্লেখ নাই, সেই সকল ক্ষেত্রে বয়স নির্বিশেষে সকল পুত্র সন্তান পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে তৎকালীন অর্থ ও রাজস্ব বিভাগের ১৬-০৪-১৯৫৯ তারিখের স্মারক নং ২৫৬৬ (৪০)-এফ এর অনুচ্ছেদ ৫(২)(এ)(ii)-এর অনুসরণে ১৫ বৎসরের মেয়াদকাল পূর্তির কোন সময় অবশিষ্ট থাকিলে শুধু উক্ত সময় পৃর্তি পর্যন্ত তিনি পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। ২৫ বৎসরের উর্ধ্বে পুত্র সন্তানের প্রাপ্যতার অনুরূপ শর্তে মৃত সরকারি কর্মচারীর বিবাহিতা কন্যা/কন্যাগণ প্রচলিত বিধিগত পদ্ধতিতে ও হারে পেনশন/আনুতােষিক প্রাপ্য হইবেন। এখানে উল্লিখিত ২৫ বৎসরের উর্ধ্বে পুত্র সন্তানের প্রাপ্যতার বিষয়টি বাতিল করেছে সরকার।
২৫ বছরের অনুর্ধ্ব বয়সী সন্তানের পেনশন পাবে কি? হ্যাঁ। হ্যাঁ, কিছু ক্ষেত্রে ২৫ বছরের কম বয়সী সন্তানও পেনশন পেতে পারে। সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী এবং সন্তানদের পারিবারিক পেনশন দেওয়া হয়। তবে, কিছু শর্ত প্রযোজ্য। সাধারণত, ২৫ বছর বা তার বেশি বয়সী পুত্র সন্তানেরা পারিবারিক পেনশন পাওয়ার যোগ্য নয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে, যেমন- প্রতিবন্ধী সন্তান বা অবিবাহিত কন্যা সন্তানেরা আজীবন এই সুবিধা পেতে পারে। পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে পুত্র সন্তানের বয়সসীমা ২৫ বছর। যদি গেজেটে অন্য কিছু উল্লেখ না থাকে, তাহলে ২৫ বছরের বেশি বয়সী পুত্র সন্তান পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবে না। তবে, যদি পুত্র সন্তান প্রতিবন্ধী হয়, তাহলে বয়স নির্বিশেষে আজীবন পেনশন পাওয়ার যোগ্য হবে।যদি কোনো সরকারি কর্মচারী মারা যান, তাহলে তার স্ত্রী এবং সন্তানরা (ছেলে ও মেয়ে) এই পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন। যদি মৃত ব্যক্তির স্ত্রী না থাকেন, তবে তার নাবালক সন্তানরা এই সুবিধা পাবে।
স্বামী বা স্ত্রী বা প্রতিবন্ধী সন্তান থাকলে অন্য সন্তান পাবে না? না। পারিবারিক পেনশন এটি মূলত মৃত সরকারি কর্মচারী বা পেনশনারের স্ত্রী এবং সন্তানদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য দেওয়া হয়। বয়সসীমা পুত্র সন্তানের ক্ষেত্রে ২৫ বছর বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে, তবে প্রতিবন্ধী বা অবিবাহিত কন্যা সন্তানের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য নয়। অন্যান্য শর্তাবলী: পেনশন পাওয়ার জন্য অন্যান্য প্রাসঙ্গিক নিয়মাবলীও অনুসরণ করতে হবে, যা বাংলাদেশ সার্ভিস রুলস এ বিস্তারিতভাবে উল্লেখ আছে। সুতরাং, ২৫ বছরের কম বয়সী সন্তান পেনশন পাবে কিনা তা নির্ভর করবে তার লিঙ্গ, বৈবাহিক অবস্থা এবং প্রতিবন্ধী হওয়ার মতো বিষয়গুলোর উপর।
২৫ বছর উর্ধ্ব বয়সী প্রাপ্ত বয়স্ক সন্তান ১৫ বছরের অবশিষ্ট সময় পেনশন পাবেন না / সরকার ২০২০ সালের জারিকৃত পেনশন সহজীকরণ আইনের অংশ বিশেষ বাতিল করিল
স্ত্রী কি আজীবন পেনশন পায়? হ্যাঁ, সাধারণত একজন সরকারি কর্মচারীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী আজীবন পারিবারিক পেনশন পেয়ে থাকেন। তবে, কিছু শর্ত প্রযোজ্য হতে পারে, যেমন বিধবা স্ত্রীর পুনরায় বিবাহ না করা। পেনশনভোগী কর্মচারী মারা গেলে তার স্ত্রী আজীবন পারিবারিক পেনশন পাওয়ার অধিকারী হন। যদি পেনশনভোগী মহিলা কর্মচারী হন, তবে তার স্বামীও আজীবন পেনশন পাওয়ার অধিকারী হন, তবে সেক্ষেত্রে স্বামীর পুনরায় বিবাহ না করার শর্ত প্রযোজ্য হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, যেমন ৫০ বছরের বেশি বয়সী বিধবারা, পুনরায় বিবাহ না করার শর্ত থেকে অব্যাহতি পেতে পারেন। পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রে, মৃত ব্যক্তির স্ত্রী বা স্বামী এবং সন্তানরা (যদি থাকে) এই সুবিধা পেয়ে থাকেন। যদি কোনো সরকারি কর্মচারী একাধিক স্ত্রী রাখেন, তবে পেনশন বণ্টনের ক্ষেত্রে নিয়মাবলী প্রযোজ্য হবে। যদি কোনো নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে এই সুবিধা পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে আপনার সন্দেহ থাকে, তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তথ্য জেনে নেয়া উচিত।
Caption: New Family Pension Rules pdf Link
পারিবারিক পেনশন প্রাপ্যতা ২০২৫ । স্ত্রী/স্বামী কি আজীবন পেনশন পাওয়ার শর্ত কি?
- সরকারি কর্মচারী মারা গেলে তার স্ত্রী/স্বামী আজীবন পেনশন পাওয়ার শর্ত হলো, পেনশনারের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী/স্বামী আজীবন এই পেনশন প্রাপ্য হবেন।
- তবে, যদি পেনশনারের মৃত্যুর ১৫ বছরের মধ্যে তার স্ত্রী/স্বামী পুনরায় বিবাহ করেন, তবে সেই ক্ষেত্রে স্বামীর পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে।
- যদি কোনো সরকারি কর্মচারী মারা যান, তবে তার স্ত্রী বা স্বামী আজীবন পেনশন পাওয়ার অধিকারী হবেন।
- পেনশনভোগীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী বা স্বামী যদি ১৫ বছরের মধ্যে পুনরায় বিবাহ করেন, তবে সেই ক্ষেত্রে তার পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে।
- যদি কোনো পেনশনারের একাধিক স্ত্রী বা স্বামী থাকেন, তবে তাদের মধ্যে বন্টন প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী হবে।
- পেনশন এবং আনুতোষিক সংক্রান্ত নিয়মাবলী সরকারের বিধি-বিধান অনুযায়ী প্রযোজ্য হবে।
- পেনশন শুধুমাত্র প্রাপকের ব্যক্তিগত অধিকার এবং এটি অন্য কারো কাছে হস্তান্তর করা যায় না, তবে মৃত্যুর ক্ষেত্রে এটি তার পরিবারকে দেওয়া হয়।
অবিবাহিত কন্যা বা বিধবা কন্যা কি পাবে?
পেনশন সহজীকরণ বিধিমালা ২০২০ এর অনুচ্ছেদ ৩.০৫ অবিবাহিতা/বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত কন্যার বয়সসীমা সম্পর্কে বলা আছে পেনশন পাবেন। পেনশনারের অবসরগ্রহণের তারিখ হইতে মােট ১৫ বৎসর মেয়াদকাল পূর্তির কোন সময় অবশিষ্ট থাকিলে উক্ত অবশিষ্ট সময়ের জন্য অবিবাহিতা/বিধবা/তালাকপ্রাপ্ত কন্যা বয়স নির্বিশেষে পারিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন। ৩.০৬ অবসরগ্রহণের পরে মৃত্যুর ক্ষেত্রে পারিবারিক পেনশনের হার- একজন সরকারি কর্মচারী অবসরগ্রহণের পর মৃত্যুবরণ করিলে তিনি জীবিত থাকা অবস্থায় যে হারে পেনশন প্রাপ্য হইতেন, তাহার মৃত্যুর পর তাহার পরিবার/মনােনীত উত্তরাধিকারী একই হারে পরিবারিক পেনশন প্রাপ্য হইবেন।
২৫ বছর উর্ধ্ব বয়সী পুত্র পারিবারিক পেনশন পাবেন না। | আনুতোষিক বা এককালীনের সুবিধা পাবেন। | পুত্রের পুত্র পর্যন্ত আনুতোষিক পাবেন। |