শাস্তি । সাময়িক বরখাস্ত । অপসারণ

সরকারি চাকরি হইতে অবসর ধারা ২০২৪ । ডিআইজি-কে জনস্বার্থে ৫৭ ধারায় বাধ্যতামূলক অবসর?

সরকার চাইলে যে কোন সময় দন্ড আরোপ করতে পারে – তবে বাধ্যতামূলক অবসর সাধারণত ২৫ বছর চাকরির পূর্তিতে প্রদান করা হয় – সরকারি চাকরি হইতে অবসর প্রদান ২০২৪

বাধ্যতামূলক অবসর আইন ২০১৮ – সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ (২০১৮ সালের ৫৭ নং আইন) এর ৪৫ ধারার বিধান অনুযায়ী জনস্বার্থে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা হয়। সরকার কোন কারণ দর্শানো ছাড়াই কোন কর্মচারীকে চাকরি হইতে জনস্বার্থে অবসর প্রদান করতে পারেন। বাধ্যতামূলক অবসর ২০২২ । পুলিশের এসপিকে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান

সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ মোতাবেক  শৃঙ্খলামূলক কারণে বিভাগীয় কার্যক্রম গ্রহণপূর্বক দন্ড হিসাবে যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়, উহাকেই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাধ্যতামূলক অবসর বলে। এরূপ শাস্তিমূলক অবসর সংক্রান্ত বিধানসমূহ নিম্নরূপ- (১) বাধ্যতামূলক অবসর গুরুদন্ড হিসাবে গণ্য। অদক্ষতা, অসদাচারণ, পালায়ন, দূনীর্তিপরায়ণ ও নাশকতামূলক কার্যকলাপের জন্য বাধ্যতামূলক অবসর দন্ড আরোপযোগ্য। (২) নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের অধস্তন কোন কর্তৃপক্ষ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে কোন কর্মচারীকে বাধ্যতামূলক অবসর দিতে পারেন না।

(৩) কর্ম কমিশনের আওতাধীন কর্মচারীদের (পূর্বতন ১ম ও ২য় শ্রেণীর কর্মচারী) বাধ্যতামূলক অবসর দন্ড আরোপের ক্ষেত্রে কর্মকমিশনের পরামর্শগ্রহণ বাধ্যতামূলক। তবে পরামর্শকরণ অনুচ্ছেদ- ৭ অনুসারে প্রতিরক্ষার সহিত সংশ্লিষ্ট পদে নিযুক্ত বেসামরিক কর্মচারী এবং এনএস আই এর কর্মকর্তাদের বাধ্যতামূলক অবসর দন্ড আরোপের ক্ষেত্রে কর্মকমিশনের পরামর্শ গ্রহণের প্রয়োজন হইবে না। দন্ড হিসাবে বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান।

সরকারি চাকরিতে দ্বিতীয় গুরুদন্ড হচ্ছে বাধতামূলকভাবে অবসর প্রদান / এক্ষেত্রে ২৫ বছর পূর্ণ হওয়ার ফলে পেনশনকালীন সকল সুযোগ সুবিধাদি প্রাপ্য হইবে।

গুরু দন্ডে প্রথম ধাপ হচ্ছে নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ এবং চূড়ান্ত ধাপ হচ্ছে চাকরি হইতে বরখাস্ত।

Info Source

সরকার চাইলে লঘুদন্ডও দিতে পারে। লঘুদণ্ড প্রদানেরক্ষেত্রে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করিতে হয়

  • (১) যখন কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি-৩ এর দফা (এ) বা (বি) বা (সি) তে বর্ণিত কারণে ব্যবস্থা করা প্রয়ােজন হয় এবং কর্তৃপক্ষ যে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি কর্তৃপক্ষ সেক্ষেত্রে সরকারী কর্মচারীর সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব অথবা এই প্রেক্ষিতে সাধারণ বা বিশেষ আদেশে কর্তৃপক্ষ বা সচিবের ক্ষমতা প্রয়ােজনকারী কর্মকর্তা যদি অভিমত পােষণ করেন যে, অভিযােগ প্রমাণিত হইলে, তাহাকে তিরস্কার অপেক্ষা কঠোর যােগ্য শাস্তি প্রদান করা হইবে, তাহা হইলে কর্তৃপক্ষ বা প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব বা কর্মকর্তা ক্ষেত্রমতে-
  • যে, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আনীত অভিযােগসমূহ তাহাকে লিখিতভাবে অবহিত করিবেন এবং অভিযুক্ত ব্যক্তি কর্তৃক অভিযােগ প্রাপ্তির সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাহার আচরণের কৈফিয়ত দেওয়ার জন্য বলিলেন এবং তিনি ব্যক্তিগত শুনানী চাহেন কিনা তাহাও জানাইবার জন্য বলিবেন ; এবং
  • (বি) অভিযুক্ত ব্যক্তি নির্ধারিত বা বর্ধিত সময়ের মধ্যে তাহার কৈফিয়ত দাখিল করিলে তাহা বিবেচনার পর এবং তিনি ব্যক্তিগত শুনানীর ইচ্ছা প্রকাশ করিলে, ব্যক্তিগত শুনানীর সুযােগ দানের পর অথবা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোন প্রকার। কৈফিয়ত দাখিল না করিলে, অভিযুক্তের বিরুদ্ধে যে কোন লঘুদণ্ড আরােপ করিতে পারিবেন :
  • তবে কর্তৃপক্ষ সচিব বা কর্মকর্তা, যেইক্ষেত্রে যিনি হন, তিনি যুক্তিযুক্ত মনে করিলে অভিযােগ তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অভিযুক্তের নিম্ন পদমর্যাদা নন, এমন একজন কর্মকর্তাকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়ােগ করিতে পারিবেন।
  • (২) তদন্তকারীর কর্মকর্তার মতামতসহ প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ, সচিব বা কর্মকর্তা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন বা প্রয়ােজন মনে করিলে পুনঃতদন্তের আদেশ দিবেন।
  • (৩) ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ, সচিব বা কর্মকর্তা পুন: তদন্তের প্রতিবেদন প্রাপ্তির পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিবেন।
  • (৪) [বিলুপ্ত]
  • (৫) যখন কোন সরকারী কর্মচারীর বিরুদ্ধে বিধি-৩এর উপ-বিধি (এ) বা (বি) বা (সি) এর অধীনে কোন কার্যক্রম গ্রহন করা হয় এবং উপ-বিধি (১)-তে বর্ণিত কর্তৃপক্ষ, সচিব অথবা কর্মকর্তা মনে করেন অভিযোেগ প্রতিষ্ঠিত হইলে তিরস্কার দণ্ড প্রয়ােগযােগ্য হইবে, তাহা হইলে, ক্ষেত্রমত, কর্তৃপক্ষ, সচিব অথবা কর্মকর্তা, অভিযুক্তের ব্যক্তিগত শুনানী গ্রহণ পূর্বক কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া তিরস্কার দণ্ড আরােপ করিতে পারিবেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তিগত শুনানীর জন্য হাজির হইতে ব্যর্থ হইলে বা উপস্থিত হইতে অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করিলে শুনানী ব্যতীত উক্ত তিরস্কার দণ্ড আরােপ করা যাইবে অথবা উপ-বিধি (১) হইতে (৩) -তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ পূর্বক তাহার উপর দণ্ড আরােপ করা যাইবে ; কিন্তু এই ক্ষেত্রে অভিযােগ প্রতিষ্টিত হইলে তিরস্কার দণ্ড অপেক্ষা গুরুতর দণ্ড আরােপ করিতে হইবে। যদি অভিযুক্ত ব্যক্তি দাবী করেন যে, তাহাকে লিখিত ভাবে অভিযােগ জানাইতে হইবে, তাহা হইলে উপ-বিধি (১) হইতে (৩) – তে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করিতে হইবে এবং এইক্ষেত্রে অভিযােগ প্রতিষ্ঠিত। হইলে তিরস্কার দণ্ড অপেক্ষা গুরুতর দণ্ড আরােপ করিতে হইবে।

অবসর প্রদান কি গুরু দন্ড?

জি। সরকারি চাকরিকালে অপরাধ বা অসদাচরণকালে লঘু দন্ড প্রদান করা হয়। সরকার যদি মনে করে যে, অপরাধ গুরুতর এবং জনস্বার্থ ক্ষুন্ন করেছে তবে চাইলে  গুরু দণ্ডসমূহের যে কোন একটি প্রদান করিতে পারে।

  • (অ) নিম্ন পদ বা নিম্নতর বেতন স্কেলে অবনমিতকরণ;
  • (আ) বাধ্যতামূলক অবসর প্রদান;
  • (ই) চাকরি হইতে অপসারণ;
  • (ঈ) চাকরি হইতে বরখাস্ত।

সরকারী কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ১৯৮৫ । শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসাবে বাধ্যতামূলক অবসর

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *