সার্ভিস রুলস । নীতি । পদ্ধতি । বিধি

অসদাচরণ নীতিমালা ১৯৭৯ । সরকারি আদেশ সংশোধন ও পরিবর্তনের জন্য প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করা যাবে কি?

কোন দপ্তর বা সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরূদ্ধে পদক্ষেপ বা প্রভাব বিস্তার অসদাচরণ হিসেবে গন্য – সরকার বা কর্তৃপক্ষের আদেশ অমান্য করা যাবে না – সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯

অসদাচারণ কি? – “ভদ্রজনের জন্য অশোভন কোন আচরণ, সেটাই ‘অসদাচারণ’। অর্থাৎ আমি যদি কোন অঙ্গ-ভঙ্গি করি, কোন শব্দ উচ্চারণ করি, এইযে নাগরিককে কান ধরে উঠবস করানো এগুলোও অসদাচারণ।”

সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর ৩০এ এর (সি) অনুসারে কোনাে সরকারি কর্মচারী-“সরকার বা কর্তৃপক্ষের কোনাে সিদ্ধান্ত বা আদেশ পরিবর্তন, বদলানাে, সংশােধন বা বাতিলের জন্য অনুচিত প্রভাব বা চাপ প্রয়ােগ করিতে পারিবেন না।” আচরণ বিধির ব্যত্যয় ঘটিয়ে কোনাে কর্মচারী এরূপ আচরণ করলে তা সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা ১৯৭৯ এর ৩২ অনুচ্ছেদ অনুসারে অসদাচরণ হিসেবে গণ্য হবে এবং তিনি উক্ত বিধিমালার আওতায় অসদাচরণের দায়ে অভিযুক্ত হবেন।

সরকারী কর্মচারী (আচরণ ) বিধিমালা ১৯৭৯” এর ধারা ২০ ও ৩০ এর সম্পুর্ন পরিপন্থী এবং সরকারী কর্মচারী (শৃখলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮” এর ধারা আনুযায়ী “অসদাচারণ” এর আওতায় অসদাচারণের দায়ে শৃখলামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা যাবে।

সরকারী সিদ্ধান্ত অনুসরণ করতে হবে / জনহিতকরণ কোন কাজে বাধা নয়

সরকারি উন্নয়ন মূলক সিদ্ধান্তের বিপরীতে যাওয়া যাবে না

অসদাচরণ নীতিমালা ১৯৭৯ । সরকারি আদেশ সংশোধন ও পরিবর্তনের জন্য প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ অসদাচরণ বলে গণ্য হইবে: ডাউনলোড

সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপীল) বিধিমালা ২০১৮

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

2 thoughts on “অসদাচরণ নীতিমালা ১৯৭৯ । সরকারি আদেশ সংশোধন ও পরিবর্তনের জন্য প্রভাব বা চাপ প্রয়োগ করা যাবে কি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *