সরকারি চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীগণ পদোন্নতি পেয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক হয় এবং শেষ পর্যন্ত প্রশাসনিক অফিসার পর্যন্ত হতে পারে পর্যাপ্ত শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকিলে। নিম্ন আদেশ বলে বিভাগ ও মন্ত্রণালয় এ পদোন্নতির কাজটি করে থাকে-MLSS to Office Assistant 2025

পিওন পদ হতে অফিস সহকারী পদে পদোন্নতি হয়? হ্যাঁ, পিওন পদ থেকে অফিস সহকারী পদে পদোন্নতি হতে পারে। সরকারি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অফিস সহায়ক বা পিওন পদে কর্মরত ব্যক্তিগণ নির্দিষ্ট যোগ্যতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতির সুযোগ পেতে পারেন। সাধারণত, অফিস সহকারী পদে পদোন্নতির জন্য এইচএসসি বা সমমান শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকতে হয়, এবং কম্পিউটার চালনায় দক্ষতা থাকতে হয়। পিওন পদে দীর্ঘদিন কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হয়, যা সাধারণত ৫ থেকে ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে। পদোন্নতির জন্য সাধারণত একটি লিখিত পরীক্ষা বা মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। কর্মক্ষেত্রে ভালো কাজের রেকর্ড ও কর্মদক্ষতাও পদোন্নতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

কত বছর চাকরি করলে পদোন্নতি হয়? কিছু সরকারি মন্ত্রণালয়ে, অফিস সহায়ক পদে কর্মরত ব্যক্তিগণ ৫ বছর পর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতি পেতে পারেন, যদি তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা (যেমন: অনার্স বা মাস্টার্স) থাকে। মৎস্য অধিদপ্তরে, ২০তম গ্রেডের ফিডার পদ (যেমন: অফিস সহায়ক) হতে ১৬তম গ্রেডের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতির জন্য, পিওন পদে চাকরি স্থায়ী হওয়ার শর্ত থাকে। পিওন থেকে অফিস সহকারী পদে পদোন্নতি একটি বাস্তবসম্মত সুযোগ, যা যোগ্য ও অভিজ্ঞ কর্মীদের জন্য উপলব্ধ। এই পদোন্নতির জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা এবং পরীক্ষার মাধ্যমে পদোন্নতি লাভ করা সম্ভব।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার

সংস্থাপন মন্ত্রণালয়

শাখা-(বিধি-১)

নং-সম/আর-১/এস-১১/৯০-২৬৫ (২০০) তারিখ: ১৯-৯-১৯৯১ ইং/০৩-০৬-১৩৯৮ বাং

বিষয়: ৪র্থ শ্রেণীর এম,এল,এস,এস পদ হইতে ৩য় শ্রেণীর নিম্নমান সহকারী তথা মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতি প্রদান সংক্রান্ত।

(১) ২৪-১০-৮০ ইং তারিখের স্মারক নং ইডি/রেগ-১/এস-২৫/৮০-৯৭ (২৫০), এবং (২) ২৭-১১-৮৯ইং তারিখের স্মারক নং সম/কল্যাণ/মিস-১২/৮৭-২৮২।

ইদানিং লক্ষ্য করা যাইতেছে যে, (১) এবং (২) সূত্রোক্ত স্মারকের বরাতে অনেক মন্ত্রণালয়/বিভাগ কর্তৃক ৪র্থ শ্রেণীর এম,এল,এস,এস পদ হইতে ৩য় শ্রেণীর নিম্নমান-সহকারী তথা মুদ্রাক্ষরিক পদে পদোন্নতি প্রদানের বিষয়ে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের মতামত কামনা করা হইতেছে। এখানে উল্লেখ্য যে, ২৪-১০-৮০ইং তারিখের এবং ২৭-১১-৮৯ ইং তারিখের স্মারকদ্বয়ের ২ং অনুচ্ছেদে উক্ত স্মারকদ্বয়ের আদেশ প্রতিপালনের পদ্ধতি নির্দেশিত হইয়াছে। অর্থাৎ স্মারকদ্বয়ের নীতিমালা কার্যকর হইতে পারে। তৎপূর্বে নহে।

২। অতএব, সূত্রোক্ত স্মারকদ্বয়ের নীতিমালা সংশ্লিষ্ট নিয়োগবিধিতে সন্নিবেশ করিবার পূর্বে স্মারকদ্বয়ের নীতিমালা অনুসরণ অর্থাৎ পদোন্নতি প্রদানের বিষয় বিবেচনা করিবার অবকাশ নাই।

৩। সকল প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়/বিভাগকে তাহার নিয়ন্ত্রনাধীন সকল অফিস/প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান/নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করিয়া কার্যকরীপদক্ষেপ নিশ্চিত করিবার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হইল।

(মোতাহার হোসেন)

যুগ্ন-সচিব (বিধি)

৪র্থ শ্রেণীর এমএলএসএস পদ হইতে ৩য় শ্রেণীর অফিস সহকারী পদে পদোন্নতি প্রদান সংক্রান্ত আদেশ সংগ্রহ করতে পারেন: ডাউনলোড

আরও বিস্তারিত জানতে জ্যেষ্ঠতা ও পদোন্নতি বিধিমালা PDF সংগ্রহ করুন: ডাউনলোড

অফিস সহায়ক হতে অফিস সহকারী পদে পদোন্নতির বিধান কি?

অফিস সহায়ক থেকে অফিস সহকারী পদে পদোন্নতির জন্য সাধারণত কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা প্রয়োজন। এই পদোন্নতি মূলত জ্যেষ্ঠতা এবং যোগ্যতা উভয়ের উপর ভিত্তি করে হয়ে থাকে। অফিস সহায়ক পদে কমপক্ষে ৫ বছর চাকরি করার অভিজ্ঞতা থাকলে এবং প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকলে পদোন্নতির জন্য বিবেচিত হতে পারেন। অফিস সহায়ক পদে দীর্ঘ সময় কাজ করার কারণে জ্যেষ্ঠতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। প্রয়োগীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা যেমন: উচ্চ মাধ্যমিক বা এর সমমানের যোগ্যতা থাকতে হতে পারে। পদোন্নতির জন্য একটি পরীক্ষা বা বাছাই প্রক্রিয়া থাকতে পারে, যেখানে নিজের মেধা ও দক্ষতার প্রমাণ দিতে হয়। অফিস সহায়ক পদে কাজের অভিজ্ঞতাও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পদোন্নতির জন্য একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া থাকে, যেখানে বিভিন্ন বিভাগের কমিটি পদোন্নতির জন্য আবেদনগুলো যাচাই করে এবং যোগ্য প্রার্থীদের পদোন্নতি দেয়। সাধারণত, সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে পদোন্নতির জন্য সরকারি বিধিমালা অনুসরণ করা হয়। অফিস সহায়ক পদে চাকরি করার সময় এই নিয়মগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা যেতে পারে।