নতুন বাংলাদেশ দিবস ২০২৫ । প্রতি বছর ৮ই আগষ্ট কি সরকারি ছুটি উদযাপিত হবে?
সাধারণত খ শ্রেণীভূক্ত ছুটিতে সরকারি ছুটি থাকে না-যদিও পরিপত্রে ছুটির বিষয়ে কিছু বলা হয়নি– নতুন বাংলাদেশ দিবস ২০২৫
খ শ্রেণীর দিবস মানে কি? “খ” শ্রেণিভুক্ত দিবস বলতে বোঝায়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালিত দিবসগুলির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট বিভাগ, যা সরকারিভাবে উদযাপিত হয়, তবে “ক” শ্রেণির মতো ততটা জাঁকজমকভাবে নয়। সাধারণত, “খ” শ্রেণির দিবসগুলিতে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় এবং কর্মদিবসে সমাবেশ বা শোভাযাত্রা পরিহার করা হয়।
এটি কি সরকারি ভাবে পালিত হয়? হ্যাঁ। “খ” শ্রেণিভুক্ত দিবসগুলি হল সরকারিভাবে পালিত হয়, তবে “ক” শ্রেণির মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপন করা হয় না। এসব দিবসে মন্ত্রীরা সাধারণত উপস্থিত থাকেন। কর্মসূচি সাধারণত তিন দিনের মধ্যে সীমিত থাকে। অফিসের কাজে ব্যাঘাত না ঘটিয়ে ছুটির দিনে বা অফিস সময়ের পরে আলোচনা বা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। নগদ বা উপকরণ আকারে অর্থ ব্যয়ের প্রয়োজন হয় না, এমন সাধারণ ইভেন্টগুলি ছুটির দিনে আয়োজন করা হয়। “ক” শ্রেণিভুক্ত দিবসগুলির মতো এসব দিবসে ব্যাপক আনুষ্ঠানিকতা থাকে না। উদাহরণস্বরূপ, শহীদ সেনা দিবস, জাতীয় বিমা দিবস (পরবর্তীতে “ক” শ্রেণিতে উন্নীত করা হয়েছে), এবং জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস “খ” শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে পালিত হয়েছে।
ক শ্রেণীর দিবস কোনগুলো? বাংলাদেশে ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবসগুলো হলো জাতীয় শিক্ষক দিবস (১৯ জানুয়ারি), শহীদ দিবস/আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (২১ ফেব্রুয়ারি), জাতীয় পতাকা দিবস (২ মার্চ), জাতীয় শিশু দিবস (১৭ মার্চ), স্বাধীনতা দিবস (২৬ মার্চ), মজিবনগর দিবস (১৭ এপ্রিল), জাতীয় জন্ম নিবন্ধন দিবস (জুলাই মাস), জাতীয় শোক দিবস (১৫ আগস্ট), জাতীয় সংহতি ও বিপ্লব দিবস (৭ নভেম্বর), সশস্ত্রবাহিনী দিবস (২১ ডিসেম্বর), মুক্তিযোদ্ধা দিবস (১ ডিসেম্বর), এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস (১৪ ডিসেম্বর), বিজয় দিবস (১৬ ডিসেম্বর)। এই দিবসগুলো বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয়।
“খ” শ্রেণিভুক্ত দিবস বলতে বাংলাদেশে কিছু বিশেষ দিনকে বোঝায়, যা সরকারিভাবে পালন করা হয়। এই দিনগুলোতে সাধারণত অফিসিয়াল কার্যক্রম সীমিত থাকে এবং বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস গুলো কি কি? “খ” শ্রেণিভুক্ত দিবসগুলো হলো জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস যা সরকারিভাবে উদযাপন করা হয়, তবে “ক” শ্রেণির মতো মর্যাদাপূর্ণ নয়। এই দিবসগুলোতে সাধারণত আলোচনা সভা, সেমিনার, এবং সীমিত আকারে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বলছে,। কিছু উদাহরণ হলো “জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস”, “জাতীয় সমাজসেবা দিবস”, “জাতীয় টিকা দিবস” ইত্যাদি। সাজসজ্জা ও বড় ধরনের অনুষ্ঠান পরিহার করতে হবে। বেতার ও টেলিভিশনে আলোচনা এবং সীমিত আকারে সেমিনার/সিম্পোজিয়াম আয়োজন করা যেতে পারে। কর্মদিবসে সমাবেশ/শোভাযাত্রা পরিহার করা হবে। কোনো সপ্তাহ পালনের ক্ষেত্রে অনুষ্ঠানসূচি সাধারণভাবে তিন দিনের মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক জারিকৃত পরিপত্র অনুযায়ী, ‘খ’ শ্রেণির দিবসগুলো সরকারিভাবে পালিত হয় এবং এগুলোতে সীমিত পরিসরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
Caption: 8th August New Bangladesh Day
‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবসের তালিকা ২০২৫ । ৮ই আগস্ট কি সরকারি ছুটি?
- জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস: ২৩ জুলাই
- জাতীয় শোক দিবস: ১৫ আগস্ট
- বিজয় দিবস: ১৬ ডিসেম্বর
- স্বাধীনতা দিবস: ২৬ মার্চ
- নতুন বাংলাদেশ দিবস: ৮ আগস্ট
‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবসে কি সরকারি ছুটি থাকে?
“খ” শ্রেণিভুক্ত দিবস পালনে সাধারণত সরকারি ছুটি থাকে না। তবে, কিছু বিশেষ ক্ষেত্রে, যেমন কোন গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দিবস বা স্মারক দিবস পালনের জন্য সরকার ঐচ্ছিক ছুটির ঘোষণা করতে পারে। সাধারণত, “খ” শ্রেণিভুক্ত দিবসগুলো সরকারিভাবে পালিত হলেও, ঐ দিনগুলোতে ঐচ্ছিক ছুটি ঘোষণা করা হয় না। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস: যেমন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস ইত্যাদি। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় পর্ব: যেমন, ঈদ, দুর্গা পূজা, বড়দিন ইত্যাদি। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য দিবস: যেমন, জাতীয় শোক দিবস, ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ইত্যাদি। এই দিবসগুলোতে সাধারণত সরকারিভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় এবং মন্ত্রী-সচিবরা এতে অংশ নেন। তবে, ঐচ্ছিক ছুটি সাধারণত ঐসব দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর নির্ভর করে।