ইত্যাদি । বিবিধ । ক্যাটাগরী বিহীন তথ্য

মন্ত্রণালয় ও বিভাগের লিংক, ইতিহাস ও কার্যক্রম ২০২৪ । বাংলাদেশ মন্ত্রণালয় কয়টি?

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে বাংলাদেশের রয়েছে সর্বমোট ৪৩টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ।

বাংলাদেশ সরকারি cabinet.gov.bd ওয়েব সাইটে তার তালিকাসহ লিংক প্রকাশ করেছে যেখানে আপনি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের ওয়েব সাইট লিংক পেয়ে যাবেন। শুধু তাই নয়, প্রতিটি ওয়েব সাইটে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের বিস্তারিত তথ্য, কার্যক্রম ও আইন কানুন ও দৈনন্দিন কার্যক্রমের নিয়মিত আপডেট প্রকাশ করা হয় ।

মন্ত্রণালয় ও বিভাগসমূহ (Allocation of Business অনুসারে) (কোন মন্ত্রণালয়/বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগের নামের উপর ক্লিক করুন)

ক্রমিক   মন্ত্রণালয়/বিভাগঠিকানা
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়বঙ্গভবন, ঢাকা
এ. জন বিভাগবঙ্গভবন, ঢাকা
বি. আপন বিভাগবঙ্গভবন, ঢাকা
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়পুরাতন সংসদ ভবন, তেজগাঁও, ঢাকা
সশস্ত্র বাহিনী বিভাগঢাকা সেনানিবাস, ঢাকা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগভবন নম্বর: ১, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
****
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৪, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
কৃষি মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৪, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
১০বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৩, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
১১সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
এ. সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
বি. সেতু বিভাগসেতু ভবন, নিউ এয়ারপোর্ট রোড, বনানী, ঢাকা।
১২সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
১৩প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়গণভবন কমপ্লেক্স, শেরে বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭৷
১৪খাদ্য মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৪, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
১৫শিক্ষা মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
এ. মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
বি. কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
১৬বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
এ. বিদ্যুৎ বিভাগভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
বি. জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
১৭পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
১৮জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ১, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
(এ)বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন সচিবালয়পুরাতন বিমান বন্দর ভবন, তেজগাও, ঢাকা।
১৯মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
২০অর্থ মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
এ. অর্থ বিভাগভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
বি. অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগব্লক নম্বর: ৮, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা।
সি. অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
ডি. আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
২১পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সেগুন বাগিচা, ঢাকা৷
২২স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৩, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
এ. স্বাস্থ্য সেবা বিভাগভবন নম্বর: ৩, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
বি. স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগভবন নম্বর: ৩, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
২৩স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৮, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
এ. জননিরাপত্তা বিভাগভবন নম্বর: ৮, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
বি. সুরক্ষা সেবা বিভাগভবন নম্বর: ৮, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
২৪গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৫, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
২৫শিল্প মন্ত্রণালয়৯১, মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকা, ঢাকা।
২৬তথ্য মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৪, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
২৭বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
২৮শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
২৯আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৪, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
এ. আইন ও বিচার বিভাগভবন নম্বর: ৪, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
বি. লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগভবন নম্বর: ৪, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
সি. বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭
৩০ভূমি মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৪, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
৩১স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
এ. স্থানীয় সরকার বিভাগভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
বি. পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
৩২পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়পরিকল্পনা কমিশন চত্ত্বর , শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা
এ. পরিকল্পনা বিভাগব্লক নম্বর: ৪, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা
  বি. পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগপরিসংখ্যান ভবন, ই-১৭/এ, আগারগাঁও, ঢাকা
সি. বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগব্লক নম্বর: ১২, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭
৩৩ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
এ. ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
বি. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগবাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি) ভবন [লেভেল-৫], আগারগাঁও, শের-ই-বাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ ।
৩৪ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৮, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
৩৫দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৪, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
৩৬নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
৩৭সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
৩৮মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
৩৯পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা।
৪০যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৭, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷
৪১মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়সরকারি পরিবহন পুল ভবন, বাংলাদেশ সচিবালয় লিংক রোড, ঢাকা৷
৪২প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়৭১-৭২, পুরাতন এ্যালিফ্যান্ট রোড, ইস্কাটন গার্ডেন, প্রবাসী কল্যাণ ভবন, ঢাকা।
৪৩রেলপথ মন্ত্রণালয়রেল ভবন, ১৬ আব্দুল গণি সড়ক, ঢাকা।
৪৪বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ভবন নম্বর: ৬, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা৷

আসুন এক নজড়ে প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের ইতিহাস জেনে নেয়া যাক। একটি মন্ত্রণালয় বিভাবে গঠিত হয়েছে এবং এর গঠন হবার ইতিহাস সংক্ষিপ্ত আকাশে আমরা জেনে নিব।

রাষ্ট্রপতির কার্যালয়: রাষ্ট্রপ্রধানরুপে রাষ্ট্রপতি সংসদ সদস্যগণ কর্তৃক নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রের অন্য সব ব্যক্তির উর্ধ্বে স্থান লাভ করেন। কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে তিনি ৫ বছর মেয়াদে অধিষ্ঠিত হন। তবে সর্বোচ্চ দুই মেয়াদের বেশি রাষ্ট্রপতি পদে কোন ব্যক্তি অধিষ্ঠিত হতে পারেন না।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়: প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সরকার প্রধানের কার্যালয়।এই কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমঃ ১। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর দায়িত্ব পালনে সাচিবিক সহায়তা প্রদান।  ২। প্রয়োজন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনে সহায়তা প্রদান। ৩। জাতীয় সংসদ বিষয়ক দায়িত্ব পালনে প্রধানমন্ত্রীকে সহায়তা প্রদান। ৪। রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি।
৫। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রশাসনিক ও আর্থিক বিষয়াদি। ৬। জাতীয় নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা। ৭। সকল গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়।  ৮। এনজিও। ৯। বিনিয়োগ বোর্ড সংশ্লিষ্ট কার্যাদি। ১০। বাংলাদেশ রপ্তানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ। ১১। অধীনস্থ দপ্তরসমূহের প্রশাসনিক ও আর্থিক সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম। ১২। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (এসএসএফ) ও প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা।  ১৩। প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ারাধীন বিভিন্ন তহবিল পরিচালনা। ১৪। প্রধানমন্ত্রীর বাণী ও বক্তৃতা। ১৫। বৈদেশিক সরকার প্রধান, প্রতিনিধির প্রটোকল।  ১৬। রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতার ব্যবস্থাপনা। ১৭। প্রধানমন্ত্রীর দেশের অভ্যন্তরীণ ভ্রমণ বিষয়াদি।  ১৮। আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে যোগাযোগ রক্ষা এবং বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সাথে সন্ধি/চুক্তি সম্পাদন বিষয়াদি
১৯। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত আইন বিষয়াদি। ২০। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত জিজ্ঞাসা ও পরিসংখ্যান সংক্রান্ত। ২১। কোর্ট ফিস বহির্ভূত প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অন্যান্য নির্ধারিত ফিস সংক্রান্ত। ২২। সময় সময়ে নির্ধারিত যে কোন অর্পিত দায়িত্ব।

সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ: Armed Forces Division (AFD) is a Division under Prime Minister’s Office. This Division enjoys ministerial status and also has parallel functions with Ministry of Defence (MoD) for Armed Forces of Bangladesh. This Division is a Joint Coordinating Headquarters for three services and also shall function as Joint Command Centre (JCC) during war situation. During peace time, this Division coordinate and accord government approval on matters related to operations, plans, training, intelligence, civil military relations, administrations and logistics. AFD also coordinates and communicates issues between other ministries and Armed Forces of Bangladesh. AFD is headed by Principal Staff Officer (PSO), an officer of the rank of Lieutenant General with the status and authority of a Senior Secretary of Bangladesh Government.

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ: মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের আনুষ্ঠানিক প্রধান। তিনি শীর্ষপদের সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে মনোনীত হন। এ সংক্রান্ত সকল আদেশ নিষেধ এ ওয়েব সাইটে পাবলিশ করা হয়।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়: প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি বাংলাদেশের এক দশমাংশ আয়তন জুড়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল। রাংগামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান তিনটি জেলা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল গঠিত। এ তিনটি জেলার মোট আয়তন ১৩,২৯৫ বর্গ কিলোমিটার। ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী এ অঞ্চলের মোট জনসংখ্যা ১৫,৮৭,০০০ জন।ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জাতিসত্তা সমূহের অধিবাসীদের মধ্যে চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চংগ্যা, ম্রো, লুসাই, বোম, পাংখো, খুমি, চাক, খেয়াং প্রভৃতি উপজাতি রয়েছে। অ-উপজাতীয়দের মধ্যে ৪৮ ভাগ মুসলমান এবং বাকীরা হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। এসব ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও ক্ষুদ্র জাতিস্বত্তা ও অ-উপজাতীয় জনগোষ্ঠী তাদের নিজ নিজ ভাষা, সাংস্কৃতি, ধর্ম, ঐতিহ্য ও কৃষ্টির ¯¦কীয়তা বজায় রেখে যুগ যুগ ধরে একে অপরের পাশাপাশি বসবাস করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলটি ১৮৬০ সালে একটি স্বতন্ত্র জেলার মর্যাদার লাভ করে। পরবর্তীতে এ অঞ্চলকে তিনটি জেলায় রূপান্তরিত করা হয়। বর্তমানে তিনটি পার্বত্য জেলায় মোট ৭টি পৌরসভা এবং ২৬ টি উপজেলা আছে।পাহাড়, বন, নদী, ঝর্ণা-এ অঞ্চলকে ¯বতন্ত্র ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য দান করেছে। এ অঞ্চলের নৃতাত্ত্বিক ও সাংস্কৃতিক গুরুত্ব অপরিসীম। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং এ অঞ্চলের জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অগ্রগতির জন্য অবকাঠামোসহ অন্যান্য খাতসমূহে সুষম উন্নয়নের লক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়: মানসম্মত প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও জীবনব্যাপী শিক্ষা নিশ্চিতকরণ। প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ ও গুণগতমান উন্নয়নের মাধ্যমে সবার জন্য প্রাথমিক ও জীবনব্যাপী শিক্ষা নিশ্চিতকরনের কার্যক্রম।

কৃষি মন্ত্রণালয়: ফসলের উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, শস্য বহুমূখীকরণ, পুষ্টিসমৃদ্ধ নিরাপদ ফসল উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থা আধুনিকায়নের মাধ্যমে কৃষিকে লাভজনক করা এবং জনসাধারণের পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়: বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বেসামরিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত বিষয়গুলো তৎকালীন যোগাযোগ মন্ত্রণালয় এবং পর্যটন সংক্রান্ত বিষয়গুলো বানিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে ছিল। ১৯৭২ সনের সেপ্টেম্বর মাসে বিমান পরিবহন বিভাগ সৃষ্টি করে ঐ বিভাগকে জাহাজ চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নামে একটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করা হয় কিন্তু ১৯৭৬ সনের জানুয়ারি মাসে পুনরায় এ মন্ত্রণালয়কে যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগ হিসাবে রূপান্তর করা হয়। ১৯৭৭ সনের ডিসেম্বর মাসে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় নামে একটি আলাদা মন্ত্রণালয় পুনঃ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৯৮২ সনের ২৪শে মার্চ পুনরায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অবলুপ্তি ঘটে এবং এটিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগে পরিনত করা হয়। ১৯৮৬ সনে সরকারী আদেশ অনুসারে (নং সিডি-৪-৫২-৮৪-রুলস, তারিখ জুলাই ৮, ১৯৮৬) বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় পুনরায় একটি মন্ত্রণালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়: ১৯৮২ খ্রিস্টাব্দে শিল্পের সাথে একীভূত হয়ে শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সে সময় বাণিজ্য বিভাগ, শিল্প বিভাগ এবং পাট বিভাগ এ মন্ত্রণালয়ের অধীন। এ সকল মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম ঠিক করণ, সুনির্দিষ্ট নীতি অনুসরণে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এ মন্ত্রণালয় থেকেই।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ: টেকসই মহাসড়ক ও নিরাপদ সড়ক পরিবহন। উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে টেকসই মহাসড়ক অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং পরিবহন সেবা ও ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের মাধ্যমে সমন্বিত নগর গণপরিবহনসহ নিরাপদ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা। মহাসড়ক নেটওয়ার্কের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ; ডিজিটাল মোটরযান ব্যবস্থাপনা সম্প্রসারণ; সড়ক নিরাপত্তা জোরদারকরণ; দ্রুতগতিসম্পন্ন গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তন ও সম্প্রসারণ; আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটে যাত্রী ও মালামাল পরিবহন সেবা সম্প্রসারণ; ১) মহাসড়ক নেটওয়ার্কের মেরামত, সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ সংক্রান্ত কার্যক্রম; ২) জাতীয়, আঞ্চলিক ও জেলা সড়কসমূহের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম; ৩) অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন কার্যক্রম; ৪) ডিজিটাল মোটরযান ব্যবস্থাপনা প্রবর্তন ও পরিচালনা কার্যক্রম; ৫) নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করা; ৬) সমন্বিত দ্রুত গতিসম্পন্ন গণপরিবহন ব্যবস্থার প্রবর্তন ও পরিচালনা কার্যক্রম; ৭) অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতি রুটে যাত্রী পরিবহন ও পণ্য পরিবহন সেবা প্রদান; ৮) সড়ক পরিবহন সেক্টরে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপকে উৎসাহিত করা;

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়: একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণে সংস্কৃতির গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের ইতিহাসে বাঙালি ব্যতিক্রমী জাতি। ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠাকে কেন্দ্র করে সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়। সংস্কৃতির মধ্য দিয়ে বাঙালি ঠিক করে নেয় তার সাংস্কৃতিক আত্ম-পরিচয়। স্বাধীনতার পর এটি আরো স্পষ্টত প্রতীয়মান যে দেশের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সংরক্ষণের জন্য ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা উচিত। স্বাধীন জাতি হিসেবে বিদেশি রাষ্ট্রের সাথে সাংস্কৃতিক চুক্তি এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রমের মাধ্যেমে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করা অপরিহার্য। আর এই দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একটি স্বতন্ত্র বিভাগ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় ১৯৭২ সালে ‘সংস্কৃতি ও ক্রীড়া’ বিষয়ক একটি বিভাগ গঠন করা হয়। আর তখন থেকেই দেশের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড বিকাশে এ বিভাগ কাজ করছে। পরবর্তীকালে এ বিভাগকে ‘শ্রম ও কল্যাণ’ মন্ত্রণালয়ের সাথে সম্পৃক্ত করা হয়। একই বছরে এ বিভাগকে পুনরায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। ১৯৭৮ সালে এ বিভাগকে ‘ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ হিসেবে নামকরণ করা হয়। ১৯৭৯ সালে এ মন্ত্রণালয়ে ধর্ম বিষয়কে সম্পৃক্ত করে ‘ধর্ম, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়’ গঠন করা হয়। ১৯৮০ সালে এ মন্ত্রণালয়কে বিভাজন করে দু’টি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় – ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করা হয় । ১৯৮২ সালে প্রশাসনিক নীতি পুনর্বিন্যাসের মাধ্যমে এ মন্ত্রণালয়কে প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে ‘ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিভাগ’এ রূপান্তরিত করা হয়। ১৯৮৩ সালে এ বিভাগকে রাষ্ট্রপতির সচিবালয়ের অধীনে ন্যস্ত করা হয়। একই বছরে ক্রীড়া এবং সংস্কৃতি বিভাগ থেকে ক্রীড়া বিষয়ক কার্যাবলিকে পৃথক করে ‘যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়’ নামে একটি নতুন মন্ত্রণালয় সৃজন করা হয়। সংস্কৃতি বিষয়ক কার্যাবলিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি স্বতন্ত্র বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করা হয়।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়: বাংলাদেশের জন্য একটি আধুনিক ও সুন্দর প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রত্যয়কে সামনে রেখে ১৯৭১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। সচিবালয় থেকে ১৯৭২ সালে এ মন্ত্রণালয়টি হাইকোর্ট ভবনে এবং ১৯৯৩ সালে শের-ই-বাংলা নগরের গণভবন কমপ্লেক্সে বর্তমান ভবনে স্থানান্তরিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে ১৪টি দপ্তর/সংস্থা নিয়ে গঠিত হলেও বর্তমানে ২৫টি দপ্তর/সংস্থা নিয়ে এ মন্ত্রণালয় পরিচালিত হচ্ছে। মন্ত্রণালয়ের সাংগঠনিক কাঠামোতে পূর্বের ২২৪ টি পদ বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে মোট পদসংখ্যা হয়েছে ২৩২ টি। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, সময়োপযোগী কর্ম-উদ্যোগ এবং বাস্তবানুগ ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এ মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন দপ্তর/সংস্থাসমূহ আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে চলেছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন সামরিক অসামরিক প্রতিষ্ঠান সমূহের সক্ষমতা বৃদ্ধি ও আধুনিকীকরণ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম, সুখী, সমৃদ্ধ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে আরো সুদৃঢ় ও শক্তিশালী করে তুলবে।

খাদ্য মন্ত্রণালয়: দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে ১৯৪৩ সালে অবিভক্ত বাংলায় সৃষ্ট ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ মোকাবেলার লক্ষ্যে ও খাদ্য সামগ্রী সরবরাহের জন্য ব্রিটিশ ভারতে বেঙ্গল সিভিল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্ট প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ডিপার্টমেন্ট প্রধান প্রধান শহরে বিধিবদ্ধ রেশনিং ব্যবস্থা চালু করতঃ দ্রুত উক্ত রেশনিং ব্যবস্থা সম্প্রসারিত করে। ভারতবর্ষ বিভক্তির পর ১৯৫৫ সালে সিভিল সাপ্লাই ডিপার্টমেন্ট বিলুপ্ত করা হলে এর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হয়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৯৫৬ সালে কৃষি ও খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সিভিল সাপ্লাই অবয়বে খাদ্য বিভাগ চালু করা হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে খাদ্য ও বেসামরিক সরবরাহ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে এ মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সময়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়, খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে খাদ্য বিভাগ ইত্যাদি নামে পরিচালিত হতে থাকে। সর্বশেষ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১২ খ্রিঃ তারিখের ০৪.৪২৩.০২২.০২.০১.০০২. ২০১২.৯৬ নং পত্র সংখ্যা দ্বারা খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়কে পুনর্গঠিত করে (১) খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং (২) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় নামে ২টি মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠিত হলে খাদ্য মন্ত্রণালয় স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ: ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটি মন্ত্রণালয়। [২] বাংলাদেশ সরকারের অন্যতম এ সংস্থাটি দেশের ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়ন, পরিচালনা, নিয়ন্ত্রণ এবং এসংশ্লিষ্ট বিবিধ আইন-বিধি-বিধান-প্রবিধান প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে থাকে।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়: পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় হল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ৪৩টি মন্ত্রণালয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। [২] এ মন্ত্রলায়ের কাজ হচ্ছে পরিসংখ্যান ব্যবস্থাপনা, সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের নীতি নির্ধারণ ও বাস্তবায়নের রূপরেখা তৈরি করা।

স্থানীয় সরকার বিভাগ: স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী করা জনগণের কাঙ্খিত লক্ষ্য। গণতন্ত্র ও স্থানীয় সরকারের দাবি সবসময়ই পরস্পরকে গতিময় করেছে। গণতান্ত্রিক ধারনার উপর ভিত্তি করে একটি স্থানীয় সংস্থার প্রতিনিধি জনগণের স্বার্থকে তুলে ধরতে পারে। নির্বাচিত প্রশাসনের সাথে প্রতিটি স্তরের প্রশাসনে স্থানীয় সরকার সংস্থার সংযোগ স্থাপন করা অপরিহার্য।বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫৯ ও ৬০ এ একটি স্থানীয় সরকারের আউটলাইন রয়েছে যা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সাথে ব্যবস্থাপনার কার্যকারিতা বর্ণনা করে যাতে প্রশাসন প্রতিটি ইউনিটের জন্য জনগণকে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করাতে পারে। সাংবিধানিক প্রয়োজনের অনুপাতে এবং সব অঞ্চলে গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার প্রাতিষ্ঠানিক রূপ প্রদান করার জন্য কার্যকর স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যক্রম নিশ্চিত করা বাধ্যতামূলক।

আইন ও বিচার বিভাগ: বাংলাদেশের বিচার বিভাগ গড়ে উঠেছে উর্দ্ধতন বিচার বিভাগ (সুপ্রীম কোর্ট) এবং অধস্তন বিচার বিভাগ (নিম্ন আদালতসমূহ)-এর সমন্বয়ে। বাংলাদেশ সরকারের তিনটি বিভাগের অন্যতম বিচার বিভাগ। সরকারের অন্য দুটি বিভাগ হল আইন বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগ।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অধীনে দেশের অভ্যান্তরীন আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন, মানবসম্পদ ও জীবনের নিরাপত্তা প্রদান, উদ্ধার অভিযান/তৎপরতা, অপরাধদমন, অপরাধী শনাক্তকরণ, জল ও স্থল সীমান্ত নিরাপত্তা, চোরাচালান রোধ, প্রবাস ও অভিবাসন সম্পর্কিত নীতিমালা/চুক্তি প্রণয়ন, মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধ, মাদকদ্রব্য চোরাচালান রোধ, মানবপাচার রোধ, ইত্যাদি কার্যক্রম পরিচালনা এবং এ-সংশ্লিষ্ট আইন, বিধান, প্রবিধান ও নিয়ম-নীতি প্রনয়ন এবং বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ: উন্নয়ন, সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে টেকসই মহাসড়ক অবকাঠামো গড়ে তোলা এবং পরিবহন সেবা ও ব্যবস্থাপনার মান উন্নয়নের মাধ্যমে সমন্বিত নগর গণপরিবহনসহ নিরাপদ সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা।

Alamin Mia

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

2 thoughts on “মন্ত্রণালয় ও বিভাগের লিংক, ইতিহাস ও কার্যক্রম ২০২৪ । বাংলাদেশ মন্ত্রণালয় কয়টি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *