সরকারি কর্মচারীগণ বিভিন্ন ধরনের ছুটি ভোগ করে থাকে। সাধারণত ছুটি শুরু হওয়ার পর কাটানোর পূর্বেই ছুটি মঞ্জুর করা হয়। তবে মঞ্জুরিকৃত ছুটি একটি নির্দিষ্ট সময় অতিক্রম করার পর তা তামাদি হয়ে যায়। কর্মচারীগণ ব্যক্তিগত, পারিবারিক এবং অসুস্থ্যতাজনিত কারণে অর্জিত ছুটি ভোগ করে থাকেন। অর্জিত ছুটিকে বর্হি:বাংলাদেশ ছুটিতে রূপান্তর করে বিদেশে চিকিৎসা বা তীর্থ স্থান দর্শনের জন্য যাওয়া যায়।
বহি: বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুর আদেশ জারি
বহি: বাংলাদেশ বা বিদেশ ছুটি কাটাতে অবশ্যই নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মঞ্জুরী আদেশ প্রয়োজন পড়বে। কোন সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তা বহি: বাংলাদেশ ছুটি বা জিও জারি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবে না। যদি কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া বা জিও জারি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণ বা দেশ ত্যাগ করেন তবে শৃঙ্খলা ভঙ্গের জন্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। তাছাড়া অনুমতি ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে মৃত্যু ঘটলে পারিবারিক পেনশনের ক্ষেত্রেও জটিলতা দেখা দেয়।
বহি: বাংলাদেশ ছুটি সাধারণ গড় বেতনে অর্জিত ছুটি হতে কর্তন হয় তবে কেউ চাইলে বিনা বেতনে বা অর্ধ গড় বেতনে ছুটিও বহি: বাংলাদেশ বা বৈদেশিক ছুটি হিসেবে মঞ্জুর করিতে পারে। যদি ছুটি জমা থাকে তবে গড় বেতনে অর্জিত ছুটি মঞ্জুর করাই শ্রেয়। জারি ওয়েবসাইটে দেওয়া থাকে তাই সহজেই যে কোন কর্তৃপক্ষ সেটি ভেরিফাই করতে পারবেন।
জিও জারি করা হলে ৪০টি’রও বেশি দেশে ভ্রমণের ক্ষেত্রে কোন ভিসা প্রয়োজন পড়বে না। জিও দিয়েও বিদেশ ভ্রমণ করা যাবে। এক্ষেত্রে সরকারি পাসপোর্ট বা ব্যক্তিগত যে পাসপোর্টই থাকুক না কেন। সরকারি চাকরিজীবীর বিদেশ ভ্রমনে ভিসা লাগবে কিনা বিস্তারিত।
বহি: বাংলাদেশ বা অর্জিত ছুটির আদেশ জারির পর মেয়াদ কত দিন থাকে?
বহি: বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুরের তারিখ হইতে ৩৫ দিন পর্যন্ত আদেশটি কার্যকর থাকবে অর্থাৎ ৩৪ দিনের মধ্যে আপনাকে ছুটি আরম্ভ করতে হইবে (বিএসআর বিধি-(৩৪)। বহি: বাংলাদেশ ছুটি বা অর্জিত যে কোন ছুটির আদেশ জারি হলে এবং তাতে যদি উল্লেখ থাকে যে, প্রকৃত ছুটি ভোগের তারিখ হতে গণনা হইবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩৫ দিনই মেয়া থাকবে। ৩৪ দিনের মধ্যে আপনাকে ছুটি আরম্ভ করতে হবে। বহিঃ বাংলাদেশ ছুটি মঞ্জুর আদেশ কত দিন পর্যন্ত কার্যকর থাকে।