সরকারি পেনশন ম্যানুয়ালটি ২৭২ পৃষ্ঠার একটি পিডিএফ যা সকল তথ্য সম্বলিত যা ২০২২ সাল পর্যন্ত আপডেট করা রয়েছে–পেনশন ম্যানুয়াল বেসামরিক ২০২৫
হিসাবরক্ষণ অফিসের পেনশন ম্যানুয়াল? সরকারি কর্মচারিগণের অবসর গ্রহণ ও পেনশন সংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান ও আদেশ থাকলেও এ সংক্রান্ত বিষয়ে এযাবত কোন ম্যানুয়াল প্রস্তুত করা হয়নি। সাধারনতঃ কোন জটিল ও টেকনিক্যাল বিষয় সঠিকভাবে এবং সহজভাবে সম্পাদনের নিমিত্ত সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে ম্যানুয়াল তৈরী করা হয়। বর্তমানে পেনশন প্রক্রিয়াকরণ ও প্রদান আইবাস++ সিস্টেমের মাধ্যমে করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন পে পয়েন্ট অর্থাৎ হিসাব রক্ষণ অফিস থেকে পেনশন প্রক্রিয়াকরণ ও প্রদান করা করা হলেও সিএএফও-পেনশন এবং ফান্ড ম্যানেজমেন্ট থেকে কেন্দ্রীয়ভাবে নিয়মিতভাবে পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অধিকন্তু পেনশন প্রক্রিয়াকরণে পেনশনার, পেনশনারের কর্মরত অফিস এবং পেনশন অনুমোদনকারি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পেনশন প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত সকল পক্ষের করণীয় বিষয়গুলো এই ম্যানুয়ালে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।
ত্বাত্তিক বিষয়ের চেয়ে ব্যবহারিক দিক অর্থাৎ কাজটি কিভাবে সম্পাদন করা হবে, কোন্ প্রক্রিয়ায় সম্পাদন করা হবে ইত্যাদি বিষয়গুলি ম্যানুয়ালে প্রাধান্য পায়। কোন কাজ সম্পাদনের ধারাবাহিক পর্যায়গুলো ফ্লোচার্ট এবং ডায়াগ্রামের মাধ্যমে সহজে বোধগম্য ভাষায় বর্ণনা করা হয়। ম্যানুয়াল প্রণয়নের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রধান বিবেচ্য বিষয় হলো এর ব্যবহারকারীদের সহজবোধ্যতা। পেনশন ম্যানুয়াল (বেসামরিক) প্রণয়নের ক্ষেত্রেও এই বিষয়গুলো অনুসরণ করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। এই ম্যানুয়ালে ত্বত্তিক বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনার পাশাপাশি বিষয়বস্তুর সহজ বোধগম্যতার জন্য পেনশন বিষয়ক মৌলিক ধারনাসমূহ সংক্ষিপ্তভাবে সহজ ভাষায় আলোচনা করা হয়েছে। পেনশন সংক্রান্ত আইন, বিধি, আদেশ ম্যানুয়ালের সংশ্লিষ্ট অধ্যায়ে সন্নিবেশন করা হয়েছে- যাতে ব্যবহারকারিগন তাঁদের প্রয়োজন অনুযায়ি বিষয়গুলো বিস্তারিতভাবে দেখে নিতে পারেন।
এই পেনশন ম্যানুয়ালটি সরকারি পেনশন স্কীমের আওতাভুক্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য প্রযোজ্য। বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের পেনশন বিধির ভিন্নতা থাকায় তাঁদের ক্ষেত্রে ম্যানুয়েলটি প্রযোজ্য নয়। ম্যানুয়ালটি চারটি অংশে বিভক্ত। প্রথম অংশে পেনশন বিষয়ক ত্বাত্তিক এবং ব্যবহারিক বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে। পেনশন প্রক্রিয়াকরণ ও প্রদান প্রক্রিয়ার সাথে মূলতঃ তিনটি পক্ষ জড়িত। প্রথমতঃ পেনশনার নিজে, দ্বিতীয়তঃ পেনশন অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষ এবং তৃতীয়তঃ পে পয়েন্ট বা হিসাব রক্ষণ অফিস। প্রত্যেক পক্ষেরই ভিন্ন ভিন্ন ভূমিকা রয়েছে। ম্যানুয়ালের এই অংশে মূলতঃ এই তিন পক্ষের করণীয় বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই পেনশনার ও পেনশন অনুমোদনকারি কর্তৃপক্ষের তুলনায় হিসাব রক্ষণ অফিসের ভূমিকা ব্যাপক ও বিস্তৃত। সেই প্রেক্ষিতে এই ম্যানুয়ালে পেনশন প্রক্রিয়ায় হিসাব রক্ষণ অফিসের করণীয় বিষয়গুলো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। বর্তমানে পেনশন প্রক্রিয়াকরণ ও প্রদানের কাজটি আইবাস++ সিস্টেমের মাধ্যমে করা হচ্ছে। কাজেই এই ম্যানুয়ালে আইবাস++ সিস্টেমের বিভিন্ন মেনু/সাব মেনু ব্যবহার করে কিভাবে পেনশন প্রদান করা হয় তা বিভিন্ন স্ক্রিন শট এবং ফ্লোচার্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে এবং তা এ ম্যানুয়েলের অংশ হিসেবে প্রকাশিত পেনশন মডিউলঃ ব্যবহার নির্দেশিকাতে বিস্তারিত ভাবে তুলে ধরা হয়েছে ।
পেনশন পিডিএফ এ সব তথ্য পাওয়া যাবে / পেনশন ম্যানুয়াল (বেসামরিক)
ম্যানুয়ালের দ্বিতীয় অংশে পেনশন সংক্রান্ত বিষয়ে সচারচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী (Freequently Asked Questions) এবং তার উত্তর সন্নিবেশিত করা হয়েছে। ম্যানুয়েলের তৃতীয় অংশে পেনশন সংক্রান্ত আইন, বিধি-বিধান, পরিপত্র, গুরুত্বপূর্ণআদেশ ইত্যাদি সন্নিবেশিত করা হয়েছে যাতে প্রয়োজনে ব্যবহারকারি তা দেখে নিতে পারেন। ম্যানুয়ালের চতুর্থ বা শেষ অংশে পেনশনের প্রয়োজনীয় ফরমসমূহ সন্নিবেশন করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের প্রবিধি অনুবিভাগের প্রজ্ঞাপন নম্বর ০7.00.0000.171.13.0০২.১৮-০৮ তারিখ ০৬/০২/২০২০ এর মাধ্যমে জারিকৃত “সরকারি কর্মচারীগনের পেনশন সহজীকরন আদেশ, ২০২০” এর নির্দেশনা সমূহের সাথে সঙ্গতি রেখে এই ম্যানুয়াল প্রস্তুত করা হয়েছে।
পেনশন ম্যানুয়াল বেসামরিক ২০২৫ পিডিএফ দেখুন
পেনশন বিধিগুলো ২০২৫ । পেনশন পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা, পেনশনের পরিমাণ হিসাব করার নিয়ম
- পেনশন বিধিগুলো হলো: পেনশন পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতা, পেনশনের পরিমাণ হিসাব করার নিয়ম, পেনশন পরিশোধের নিয়ম, এবং পারিবারিক পেনশন বা গ্র্যাচুইটি সংক্রান্ত বিষয়গুলো। এছাড়াও, পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন, বিধি-বিধান, পরিপত্র, গুরুত্বপূর্ণ আদেশ ইত্যাদিও পেনশন বিধিগুলোর অংশ।
- পেনশন পাওয়ার যোগ্যতা: সাধারণত সরকারি কর্মচারী বা নির্দিষ্ট কোনো সংস্থার সদস্য যারা নির্দিষ্ট সময়কাল চাকরি করার পর বা অন্য কোনো কারণে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন, তারা পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন।
- পেনশনের পরিমাণ নির্ধারণ: পেনশনের পরিমাণ সাধারণত শেষ বেতনের উপর ভিত্তি করে এবং চাকরিজীবনের মেয়াদ, গ্রেড ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয় বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়, যেমনটা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে Laws of Bangladesh অনুসারে।
- পেনশন পরিশোধের নিয়ম: পেনশন সাধারণত মাসিক ভিত্তিতে পরিশোধ করা হয়। পেনশনের টাকা নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে বা অন্যান্য পদ্ধতিতে পরিশোধ করা যেতে পারে, যেমনটা GPF এর ক্ষেত্রে বলা হয়েছে GPF https://www.cafopfm.gov.bd/faq.php।
- পারিবারিক পেনশন বা গ্র্যাচুইটি: কোনো কর্মচারীর মৃত্যুর পর তার পরিবার বা মনোনীত ব্যক্তিকে পেনশন বা গ্র্যাচুইটি দেওয়া হয়। এই ক্ষেত্রে, পরিবারের সদস্য বলতে সাধারণত স্বামী/স্ত্রী এবং সন্তানকে বোঝানো হয়।
- অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দিক: এছাড়াও, পেনশন সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন, বিধি-বিধান, পরিপত্র, গুরুত্বপূর্ণ আদেশ ইত্যাদি পেনশন বিধিগুলোর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। পেনশন বিধিগুলো সাধারণত সরকারি বা বেসরকারী বিভিন্ন সংস্থার নিজস্ব নিয়ম অনুযায়ী হয়ে থাকে।
পেনশন প্রাপ্তির জন্য সর্বনিম্ন কত বছর চাকরি করতে হয়?
পেনশন পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন ৫ বছর চাকরি করতে হয়। তবে, স্বেচ্ছায় অবসরে গেলে পেনশনের জন্য ২৫ বছর চাকরি করা প্রয়োজন। ২৫ বছর চাকরি করার পর কেউ স্বেচ্ছায় অবসরে যেতে পারেন। এছাড়াও, ১৫ বছর চাকরি করার পর স্বেচ্ছায় অবসরের সুযোগ রাখার সুপারিশ করেছে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন, এবং সরকার যদি মনে করে তবে যেকোনো সময় কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠাতে পারে। সাধারণত, কোনো সরকারি কর্মচারী বা কর্মকর্তা ৫ বছর চাকরি করলে পেনশন পাওয়ার যোগ্য হন। পেনশন পাওয়ার জন্য সর্বনিম্ন চাকরির মেয়াদ ৫ বছর হলেও, সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী ২৫ বছর চাকরি করা বাধ্যতামূলক।
বাবা মা কি পেনশন পায়?হ্যাঁ, বাবা-মা পেনশন পেতে পারেন। সরকারি চাকরিজীবী বাবা-মা যদি চাকরিরত অবস্থায় বা পেনশনরত অবস্থায় মারা যান, তবে তাদের সন্তানরা নির্দিষ্ট শর্তে পারিবারিক পেনশন পেতে পারে।পারিবারিক পেনশন: সরকারি চাকরিজীবীর মৃত্যুর পর, তার পরিবার (স্ত্রী, সন্তান, নির্ভরশীল আত্মীয়) পেনশন পেতে পারে। এই পেনশনকে পারিবারিক পেনশন বলা হয়। | সন্তানদের পেনশন: বাবা-মা উভয়ের মৃত্যু হলে, সন্তান ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত পারিবারিক পেনশন পেতে পারে। | শারীরিক প্রতিবন্ধী সন্তানের পেনশন: সন্তানেরা যদি শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী হয়, তবে তারা আজীবন পারিবারিক পেনশন পেতে পারে। |
অন্যান্য পেনশন: বাবা-মা যদি অবসর গ্রহণ করেন, তবে তারা তাদের নিজের পেনশন পেতে পারেন। এছাড়াও, কিছু ক্ষেত্রে তারা তাদের সন্তানের জন্য পেনশন পেতে পারেন, যদি সন্তান প্রতিবন্ধী হয় বা তাদের অন্য কোনো বিশেষ প্রয়োজন থাকে। | সরকার কর্তৃক প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা: সরকার বিভিন্ন সময় পেনশন সম্পর্কিত সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে থাকে, যেমন- পেনশন পুনঃস্থাপনের সুযোগ, পেনশনের পরিমাণ বৃদ্ধি ইত্যাদি। | বিশেষ শর্তাবলী: পেনশন পাওয়ার জন্য কিছু শর্তাবলী পূরণ করতে হয়, যেমন- চাকরির মেয়াদ, পেনশনভোগীর বয়স ইত্যাদি। |