জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা নীতিমালা জারি করেছে-এটি মূলত পূর্বে জারিকৃত উচ্চশিক্ষা নীতিমালার উন্নত ও সংশোধিত রুপ – জনপ্রশাসন উচ্চশিক্ষা নীতিমালা ২০২৩
উচ্চশিক্ষা কি? উচ্চশিক্ষা বলতে পেশাগত দক্ষতা অর্জনের জন্য সরকারি কর্মচারীর চাকরি (Service Path) অথবা শিক্ষাগত যোগ্যতা (Academic Background) সংশ্লিষ্ট ডিগ্রি অর্জনের লক্ষ্যে দেশে ও বিদেশে অধ্যয়নকে বুঝাবে। সাধারণভাবে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা, মাস্টার্স, এম.ফিল. ও পিএইচডি উচ্চশিক্ষার অন্তর্ভুক্ত হিসেবে গণ্য হবে।
‘নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ’ বলতে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মচারীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অথবা তার দ্বারা ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্তৃপক্ষকে বুঝাবে। ‘সরকারি দপ্তর’ বলতে মন্ত্রণালয়/বিভাগ এবং এর আওতাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন কোনো দপ্তরকে বুঝাবে। ‘সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান’ বলতে কোনো মন্ত্রণালয়/বিভাগের আওতাধীন বা নিয়ন্ত্রণাধীন প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানকে বুঝাবে। ‘বয়সসীমা’ বলতে কোর্স শুরুর তারিখে বয়সসীমা বুঝাবে। তবে মনোনয়ন চূড়ান্ত হওয়ার পর অনিবার্য কারণে কোর্স শুরুর তারিখ পরিবর্তিত হলে শুধু বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার কারণে কোন মনোনয়ন পরিবর্তন করা যাবে না। এছাড়া, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ক্ষেত্রে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখে বয়সসীমা বুঝাবে।
‘বৃত্তি’ বলতে বাংলাদেশ সরকার, বিদেশি সরকার, উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা, সরকার অনুমোদিত দেশি/বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্প/ফাউন্ডেশন, দেশি/বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় বা প্ৰশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান অথবা সরকারের সঙ্গে চুক্তির আওতায় বেসরকারি সংস্থা/প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রশিক্ষণ/উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় অর্থের সম্পূর্ণ অথবা আংশিক খরচ বহনকে বুঝাবে। সরকারের সঙ্গে চুক্তি বহির্ভুত বেসরকারি বা ব্যক্তি মালিকানাধীন কোন প্রতিষ্ঠান অথবা কোনো ব্যক্তির নিকট হতে প্রাপ্ত অর্থ বৃত্তি হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।
কর্মচারীগণও কি প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষায় যায়? মেন্টরশিপ বলতে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগপ্রাপ্তিকে বোঝায়;
‘ফেলোশিপ’ বলতে এক ধরনের বৃত্তিকে বোঝাবে যা একাডেমিক ফলাফল বা পূর্ববর্তী গবেষণার কৃতিত্ব স্বরূপ অথবা কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কাজের দক্ষতার ভিত্তিতে অর্জিত হয়।
জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা নীতিমালা, ২০২৩ Full PDF Download
সরকারি দপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা, আধা সরকারি সংস্থা বা সাংবিধানিক সংস্থার প্রশিক্ষণ চাহিদার ভিত্তিতে সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানসমূহ স্ব-স্ব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি প্রণয়ন করবে। উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্তকরণের ক্ষেত্রে যতদূর সম্ভব নিম্নোক্ত ক্ষেত্রসমূহ বিবেচনা করতে হবে, তবে তা সম্পূর্ণ (exhaustive) নয় বরং নির্দেশক (indicative) বলে গণ্য হবে
- রাষ্ট্রের উৎপত্তি ও মৌলিক কাঠামো
- মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশের ইতিহাস
- রাষ্ট্রের উন্নয়ন আকাঙ্ক্ষা ও পরিকল্পনা
- বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতি
- সুশাসন প্রতিষ্ঠা
- নীতিমালা প্রণয়ন এবং নীতিমালা ব্যবস্থাপনা
- প্রশাসনিক ও আর্থিক ব্যবস্থাপনা
- মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা
- জনসেবার উন্নয়ন
- তদারকি ও পরিবীক্ষণ
- মূল্যায়ন এবং গবেষণা
- সাংগঠনিক মূল্যবোধ ও সংস্কৃতির প্রসার
- নৈতিকতা ও মূল্যবোধ
- সৃজনশীল ও উদ্ভাবনীশক্তির উন্মেষ
- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক
- উন্নয়ন প্রশাসন
- উন্নয়ন অর্থনীতি
- আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থনীতি
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি
- সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা
- আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য
- পরিবেশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, জ্বালানি, খাদ্য ও জলবায়ু নিরাপত্তা
- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
- মহাকাশ বিজ্ঞান, ব্লু ইকোনমি
- মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা
- সাম্প্রতিক বিষয়াবলি
ন্যুনতম কত বছর হলে উচ্চশিক্ষায় যাওয়া যায়?
সকল ক্যাডারের এবং নবনিয়োগপ্রাপ্ত নন ক্যাডার ও অন্যান্য কর্মচারীদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ চাকরিতে প্রবেশের দুই বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। নন ক্যাডার থেকে ক্যাডার পদে অন্তর্ভুক্ত কর্মকর্তাদের বিশেষ বুনিয়াদি প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৫ বছর। ক্যাডার বহির্ভুত কর্মচারীদের ক্ষেত্রে এ বয়সসীমা হবে ৫০ বছর। স্ব স্ব নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত ও অনুমোদিত পেশা-সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ কোর্স চাকরিতে প্রবেশের ০২ (দুই) বছরের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে। সরকারের উপসচিবগণের জন্য নির্ধারিত এসিএডি কোর্সে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫০ বছর, যুগ্মসচিবগণের জন্য নির্ধারিত এসএসসি কোর্সে অংশগ্রহণের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৫ বছর এবং অতিরিক্ত সচিবগণের জন্য পিপিএমসি কোর্সে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে চাকরির মেয়াদ অন্যূন এক বছর অবশিষ্ট থাকতে হবে। তবে, সচিবগণের পলিসি ডায়ালগে অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে কোন বয়সসীমা নির্ধারিত থাকবে না।
জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ ও উচ্চশিক্ষা নীতিমালা, ২০২৩ গেজেট ডাউনলোড