ওয়ার্কচার্জড/কন্টিনজেন্ট কর্মচারী নিয়ােগ ও নিয়মিতকরণ করার নিয়ম ২০০৬

২৩ জানুয়ারি, ১৯৮৬ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃত ওয়ার্কচার্জড কর্মচারী এবং ২০ জানুয়ারি, ১৯৯০ তারিখ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃত কন্টিনজেন্ট কর্মচারীদের বিদ্যমান বিধি-বিধানের আলােকে নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়ন করা যাইবে।

ওয়ার্কচার্জড/কন্টিনজেন্ট কর্মচারী নিয়ােগ ও নিয়মিতকরণ

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের স্মারক নং-সম(বিধি-৩)-কন্টিন-৩/২০০৬-৩২, তারিখ। ৩১ অক্টোবর, ২০০৬ দ্বারা নিম্নরূপ নির্দেশনা জারি করা হয়—

(ক) ২৩ জানুয়ারি, ১৯৮৬ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃত ওয়ার্কচার্জড কর্মচারী এবং ২০ জানুয়ারি, ১৯৯০ তারিখ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃত কন্টিনজেন্ট কর্মচারীদের বিদ্যমান বিধি-বিধানের আলােকে নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়ন করা যাইবে।

(খ) নিয়মিতকরণযােগ্য ওয়ার্কচার্জড ও কন্টিনজেন্ট কর্মচারীদের সম্পর্কে প্রাসঙ্গিক অন্যান্য তথ্যাদি ব্যতীতও কর্মচারীর নাম ও পদবী, পিতার নাম, নিয়ােগের তারিখ, যােগদানের তারিখ, যযাগদানের তারিখে বয়স, কী পদ্ধতিতে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল, কোন বিধিবিধান/আদেশ বলে নিয়ােগ দেয়া হয়েছিল, নিজ জেলা, বেতন ভাতা পরিশােধের খাত, বর্তমান মূল বেতন, মােট বেতন, নিয়ােগকালীন সময়ের বেতন স্কেল, যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই করতঃ নিয়ােগ দেওয়া হইয়াছিল মর্মে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানের প্রত্যয়ন ইত্যাদির আলােকে নিয়মিতকরণ করিতে হইবে। সেইক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ একটি তথ্য ছক প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়/বিভাগ হইতে তথ্যাদি সংগ্রহ করিয়া সে অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করিবে।

(গ) দশ বৎসর বা তদুর্ধ্ব সময় চলমান সকল ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণীর ওয়ার্কচার্জড পদের শতকরা ৫০ ভাগ নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়ন করা যাইতে পারে। কর্মচারীদেরকে নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়নের ক্ষেত্রে ২১ এপ্রিল, ১৯৭২ তারিখের No.Estb/RI/S-46/72/55 স্মারকের নির্দেশনা অনুসরণ করা হইবে। এই নিয়মিতকরণ কেবলমাত্র ২৩ জানুয়ারি, ১৯৮৬ তারিখ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃতদের ক্ষেত্রে প্রযােজ্য হইবে। ইতােমধ্যে নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়নকৃতদের শতকরা ৫০ ভাগ হিসাবে মােট সংখ্যা হইতে বাদ দিয়া অবশিষ্টদের নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়ন করা যাইবে। শতকরা ৫০ ভাগের এই হিসাব কেবল একবারের জন্য প্রযােজ্য হইবে। এইক্ষেত্রে ৬ আগস্ট, ১৯৭৩ তারিখের No.ED(R-IV)-IR-27/72-195 স্মারক প্রযােজ

হইবে।

(ঘ) ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯০ তারিখ বা উহার পূর্বে নিয়ােগকৃত ও যােগদানকৃত কন্টিনজেন্ট কর্মচারীদের সকলেই নিয়মিতকরণের আওতায় আসবেন।

(ঙ) ৮ অক্টোবর, ১৯৭৪ তারিখের No.ED(RV)-IP-75/73-387 স্মারক অনুযায়ী যে সকল কন্টিনজেন্ট/ওয়ার্কচার্জড কর্মচারীকে নিয়মিত সংস্থাপনে আনয়ন করা হইবে, তাহারা অবসর ও পেনশন সুবিধা পাইবেন।

(চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ০৫/০৯/৮৯ তারিখের সম/সওব্য(সমন্বয়)১৪৮/৮৫-৪৫৩(৪৬) নং স্মারক অনুযায়ী পদ সংরক্ষণ করিতে হইবে। তবে এই ধরনের পদে নিয়মিতকৃত কর্মচারীদের পদত্যাগ, মৃত্যু, অবসর ইত্যাদি জনিত কারণে পদ শূন্য হইলে সেইগুলি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হইবে।

(ছ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সওব্য) এর সভাপতিত্বে ২৮ জুলাই, ১৯৮৬ তারিখে গঠিত স্ট্যান্ডিং কমিটি যথা পদ্ধতিতে ওয়ার্কচার্জড/কন্টিনজেন্ট কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখিবে।

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে admin@bdservicerules.info ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

admin has 2985 posts and counting. See all posts by admin

2 thoughts on “ওয়ার্কচার্জড/কন্টিনজেন্ট কর্মচারী নিয়ােগ ও নিয়মিতকরণ করার নিয়ম ২০০৬

  • ৩৩ বছর বয়সে ২০২২ সালে নিয়োগ পেলে সেক্ষে কী সুবিধা পাবে।

  • যোগদান কাল থেকে নিয়মিহ করলে সবসুযোগ সুবিধাই পাবেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *