EFT কি? সরকারি কর্মচারীদের ইএফটি’র প্রয়োজনীয়তা।

ইএফটি বলতে বুঝায় ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার EFT( Electronic Fund Transfer)। ইএফটি’র মাধ্যমে ওয়্যার পদ্ধতিতে কোন কর্মচারীর হিসাবে বেতন ভাতাদি প্রেরণ করা যায়।

কোন রকম ব্যাংক চেক বা কাগজী এ্যাডভাইজ ব্যাংকে প্রেরণ করা লাগবে না। এটি একটি অত্যাধুনিক মাধ্যম যার মাধ্যমে খুব সহজেই গ্রাহকের একাউন্ট ক্রেডিট করা যায়। মোট কথা এক একাউন্ট হতে অন্য একাউন্টে অর্থ ট্রান্সফারকেই EFT বলে।

তো, ইএফটি কী? মূলত, ইএফটি (বৈদ্যুতিন তহবিল স্থানান্তর) এক অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য অ্যাকাউন্টে অর্থ স্থানান্তর করতে ব্যবহৃত হয়। লেনদেনটি বৈদ্যুতিকভাবে সম্পন্ন হয় এবং দুটি অ্যাকাউন্ট একই আর্থিক প্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে থাকতে পারে। তবে, “EFT” শব্দটি নির্দিষ্ট ধরণের অর্থ প্রদানের উল্লেখ করে না। এটি আসলে একটি সংক্ষিপ্ত শব্দ যা তারের স্থানান্তর এবং সহ বিস্তৃত ইলেকট্রনিক পেমেন্টগুলির একটি। আরও বিস্তারিত জানতে লিংক ভিজিট করুন।

কেন সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি ইএফটি’র মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে

বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন ভাতাদি ইএফটি’র মাধ্যমে প্রদান করা হচ্ছে। সকল কর্মকর্তা অনলাইনে আইবাস++ এর মাধ্যমে বেতন বিল সাবমিট করে থাকেন, হিসাবরক্ষণ অফিস কর্তৃক EFT Generate করার পর বাংলাদেশ ব্যাংক ২-৩ কর্মদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার ব্যাংক একাউন্ট দাখিলকৃত বিলের সমপরিমাণ অর্থ ক্রেডিট করে দেয়। এতে করে কাগজী পদ্ধতির ব্যয় সংকোচন হচ্ছে এবং ব্যাংকে ম্যানুয়ালি অর্থ বা বিল ট্রান্সফার চার্জ লাগছে না। বাংলাদেশের যে কোন শাখায় একাউন্ট থাক না কেন, খুব সহজেই চার্জ বিহীন বাংলাদেশ ব্যাংক তার একাউন্ট ক্রেডিট করে দিচ্ছে।

 

সরকারি রোডম্যাপ অনুসারে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা আগামী এপ্রিল/২১ মাসের মধ্যে ইএফটি’র মাধ্যমে প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। হিসাবরক্ষণ অফিসগুলোও সকল কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি ইএফটি’র মাধ্যমে প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে। এতে করে কর্মচারীগণ প্রতিমাসের ০১-০২ তারিখের মধ্যে নিজ নিজ হিসাবে বেতন ভাতাদি প্রাপ্য হইবেন। ম্যানুয়ালি এ্যাডভাইজ প্রেরণের ক্ষেত্রে প্রতিটি লেনদেনের জন্য ব্যাংক চার্জ প্রদান করতে হয়। ইএফটি’র মাধ্যমে একাউন্ট ক্রেডিট হতে কোন প্রকার ব্যাংক চার্জ কর্তন করা হয় না। চেকের মাধ্যমে বেতন ভাতাদি প্রদান করা হলেও চেক ক্লিয়ারিং চার্জ কর্তন করা হয়।

ইএফটি চালু হওয়ার ক্ষেত্রে ভূয়া চেক প্রদানের সুযোগ থাকবে না। সরকারি কোন চার্জ প্রদানের বিধি লঙ্গন হবে না। কোন কর্মচারীকে ক্যাশ লেনদেনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বহন করতে হবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে লেনদেনের স্বচ্ছতা আসবে প্রতিটি লেনদেনের স্বচ্ছা ডকুমেন্ট থাকবে। কর্মচারীদের প্রদত্ত বেতন ভাতাদির হিসাব খুব সহজেই বের করা যাবে।

সরকারি কর্মচারীদের জন্য ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে গৃহ নির্মাণ ঋণ সংক্রান্ত নীতিমালা, ২০১৯ অনুসারে কোন কর্মচারী এ ঋণ পেতে হলে তার বেতন ভাতাদি ইএফটি’র মাধ্যমে পরিশোধিত করতে হবে। বেতন ভাতাদি ইএফটি’র মাধ্যমে পরিশোধ না হলে যে কোন ব্যাংক লোন পেতেও বেগ পেতে হয় কর্মচারীদের তাই ইএফটি’র মাধ্যমে বেতন ভাতাদি হওয়া জরুরি।

 

ইএফটি’তে বেতন ভাতাদি প্রদানের কারণে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি প্রদানের তথ্য অনলাইনে থাকার কারণে অডিট টিম খুব সহজেই তার হিসাব এবং সকল তথ্য অডিট করতে পারবেন। হিসাবে যে কোন গড়মিল বা কারচুপি উদঘাটন করা সহজ হবে।

admin

আমি একজন সরকারী চাকরিজীবি। দীর্ঘ ৮ বছর যাবৎ চাকুরির সুবাদে সরকারি চাকরি বিধি বিধান নিয়ে পড়াশুনা করছি। বিএসআর ব্লগে সরকারি আদেশ, গেজেট, প্রজ্ঞাপন ও পরিপত্র পোস্ট করা হয়। এ ব্লগের কোন পোস্ট নিয়ে বিস্তারিত জানতে [email protected] ঠিকানায় মেইল করতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *